আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস শেষে আগামী সপ্তাহে খুশির ঈদ। এ উপলক্ষ্যে ঈদের দিন সকালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজে সামিল হন মুসলিমরা। তবে কলকাতায় ঈদের সবচেয়ে বড় নামাজটি হয় রেড রোডে। কয়েক লাখ মুসল্লি এই নামাজে অংশ নেন। নামাজ পড়ান ইমাম কোয়ারি ফজলুর রহমান। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, কুশল বিনিময় করেন মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদক দীপক দেবনাথ-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে প্রতিবছরই কলকাতার রেড রোডে ইদের নামাজে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ তার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য। ঈদের শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন।
কিন্তু দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বড় জমায়েত এড়াতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ২০২০ ও ২০২১ সালে রেড রোড ছিল কার্যত শুনশান। গত দুই বছর সেখানে ঈদের কোনো জমায়েত হয়নি। ফলে রমজানের রোজা শেষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই সময় ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা নিজের বাড়িতেই ঈদের নামাজ আদায় করেন।
কিন্তু চলতি বছরে করোনার ভ্রুকুটি নেই। তাই রেড রোডে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে রেখেছেন সংগঠকরা। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই রেড রোডে প্যান্ডেলসহ অন্য প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যাবে।
রেড রোডে ঈদের নামাজ আদায়ের সব ব্যবস্থা করে থাকে কলকাতার খলিফাত কমিটি। সেই কমিটির সচিব নাসির আহমেদ জানান ‘ঈদের নামাজে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব অনুমতি পেয়েছি। অতিমারির কারণে গত দুই বছর আমরা রেড রোডে ঈদের জমায়েত করতে পারিনি। কিন্তু চলতি বছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই এবছর রেড রোডে ঈদের নামাজ পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
চলতি বছরে আগামী ৩ মে ঈদ-উল-ফিতরের সম্ভাব্য দিন হিসেবে থাকলেও তা মূলত নির্ভর করে চাঁদ দেখা কমিটির ওপর।
আহমেদ জানান, ‘আমরা এই মুহূর্তে প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এবং আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও আবহাওয়ার বড় কোনো পরিবর্তন হবে না। ঈদের নামাজে অংশ নিতে প্রচুর বয়স্ক ও শিশুরাও আসে, তাই সকাল ৯টার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় নামাজ শুরুর চিন্তাভাবনা করছি।’ সূর্যের প্রখর তাপের হাত থেকে বাঁচতে সামিয়ানা বা শেডের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান নাসির আহমেদ।
তিনি আরও বলেন ‘২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা ব্যানার্জিও ঈদের নামাজে উপস্থিত থাকেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এবারও আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে তার উপস্থিতির নিশ্চয়তা পেয়েছি।’
তবে কেবল রেড রোডই নয়, নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদসহ কলকাতার বড় মসজিদের চিত্রটাও ছিল একইরকম। ঈদ শেষে একে অপরকে আলিঙ্গন করার যে দৃশ্য সচরাচর দেখা যায়-করোনার আবহে গত দুই বছর সেই দৃশ্য দেখা যায়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। দুই বছর পর গত সপ্তাহেই পার্ক সার্কাসের ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মমতা ব্যানার্জি, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমসহ মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য, সাংসদ ও বিধায়করা।
তিন বছর আগে কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বান্ডিল মালিককে ফেরালেন দরিদ্র মাছ বিক্রেতা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।