ঈদের আগেও জমে ওঠেনি শপিংমল, নতুন পোশাক বিক্রিতে ভাটা

জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য একটি আনন্দঘন উৎসব। এ সময় কোরবানির জন্য বেশি ব্যয় হলেও নতুন পোশাক কেনার প্রতি পরিবারেও রয়েছে আগ্রহ। তবে এবারের ঈদ সামনে থাকলেও রাজধানীর বাড্ডার বিভিন্ন শপিংমল ও ব্র্যান্ড আউটলেটে নেই ক্রেতার ভিড়।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার বেচাকেনা প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছায়নি। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বিগত দুই দিনে শপিংমলগুলোতে তেমন ক্রেতা ছিল না, যার ফলে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা পড়েছেন বিপাকে।

সরেজমিনে বাড্ডার সুবাস্তু মার্কেট, হল্যান্ড সেন্টার এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড আউটলেট ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও তেমন ভিড় নেই। সাধারণ দিনের মতোই ক্রেতা উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ব্র্যান্ড আউটলেটগুলোতে নানা ছাড় দেওয়া হলেও বিক্রির হার আশানুরূপ নয়।

সুবাস্তু মার্কেটের দোকানিরা বলছেন, ঈদুল আজহার সময় সাধারণত ঈদুল ফিতরের তুলনায় কেনাকাটা কম হয়। কোরবানির খরচের বিষয় মাথায় রেখে অনেকেই পোশাকে অতিরিক্ত খরচ করতে চান না। এবার এই প্রবণতা আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

আগের চেয়ে অর্ধেকেরও কম বিক্রি

দোকান কর্মচারী রাকিব বলেন, “এ বছর বিক্রি খুবই কম। গত দুই দিনে ৩-৪ হাজার টাকার মতো কাপড় বিক্রি হয়েছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। গত বছর এই সময়ে দ্বিগুণেরও বেশি বিক্রি হয়েছিল।”

কর্মচারী শান্তও জানান, “বিকেলেও ক্রেতার উপস্থিতি নেই। মাত্র কয়েকদিন বাকি ঈদের। দেখা যাক শেষ সময়ে কিছু ভিড় হয় কিনা। এর চেয়ে মফস্বলে বিক্রি ভালো হচ্ছে।”

নারীরাই প্রধান ক্রেতা

বিক্রেতারা জানান, ঈদের বাজারে নারী ও শিশুদের জন্য পোশাক বিক্রি বেশি হয়। পুরুষদের তুলনায় নারীরা আগ্রহ সহকারে কেনাকাটা করেন, ফলে নারীদের পণ্যের চাহিদাও বেশি।

শান্ত বলেন, “পুরুষদের আইটেম খুব কম বিক্রি হয়। নারীরাই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ নিয়ে কেনাকাটা করেন।”

নতুন পণ্যের অভাব

এবারের ঈদে নতুন পোশাকের সংগ্রহ খুব একটা চোখে পড়ছে না। দোকানগুলোর বেশিরভাগেই ঈদুল ফিতরের সময়ের স্টক বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিক্রি কম হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে নতুন কালেকশন আনেননি।

শেষ মুহূর্তের আশায় বিক্রেতারা

দোকানিরা আশা করছেন, শেষ মুহূর্তে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে এবং ক্রেতারা বাইরে বের হন, তবে কিছুটা ঘাটতি পূরণ হতে পারে। তবে বিক্রির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।

টানা বৃষ্টি আর কতদিন থাকবে

দোকান কর্মচারী আলম বলেন, “এই ঈদে কোরবানির খরচ বেশি হওয়ায় কেনাকাটা কম হয়। তবে অনেকেই কোরবানি দেন না, তাদের ওপরই এখন নির্ভর করছি।”