জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপনকে কেন্দ্র করে ব্যাংক ছুটির সময়সূচিতে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে এবারের সরকারি ছুটি পড়েছে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত, যা মোট ১০ দিনব্যাপী। এই সময় দেশের অধিকাংশ ব্যাংক বন্ধ থাকবে, তবে কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে এবং নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Table of Contents
ঈদুল আজহা ব্যাংক ছুটি: কবে বন্ধ, কবে খোলা থাকবে
ঈদুল আজহার সময়কালের ব্যাংক ছুটি নিয়ে সবার মধ্যে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। মূলত ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু করে ১৪ জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন, বোনাস এবং অন্যান্য ভাতাদি পরিশোধের সুবিধার্থে, তিনটি দিনে ব্যাংক সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
- ৫ জুন: ঈদের আগের দিন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী, ভালুকা এবং চট্টগ্রামের শিল্প এলাকা—এগুলোতে ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন চালু রাখবে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে।
- ১১ জুন ও ১২ জুন: এই দুই দিন সরকারি ছুটির মধ্যেও রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রম, বিশেষ করে পোশাক ও ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য বাণিজ্যিক এলাকার অনুমোদিত ডিলার শাখা খোলা থাকবে।
শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিশ্চিত করতে নেওয়া পদক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীরা সঠিক সময়ে বেতন ও উৎসব বোনাস পেতে পারেন। অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, ছুটির পূর্বে এসব আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন না হলে তা শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে। ব্যাংক খোলা রাখার এই বিশেষ ব্যবস্থা তাই সময়োচিত ও মানবিক।
এই বিষয়ে আরও তথ্য পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল নোটিশ পরিদর্শন করা যেতে পারে।
কোন ব্যাংকের কোন শাখা খোলা থাকবে?
প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের যেসব শাখা শিল্পঘন এলাকায় অবস্থিত—যেমন ঢাকা মহানগরী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, টঙ্গী এবং ভালুকা—সেখানে ব্যাংক খোলা থাকবে। তবে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব শাখা নির্ধারণ করে ব্যাংকারদের আগাম জানিয়ে দেবে।
ব্যাংকের সময়সূচি এবং লেনদেন কার্যক্রম
উল্লেখিত তিনটি দিনে ব্যাংক সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন চালু রাখবে। এছাড়াও বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে শুধুমাত্র লেনদেন-পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। অর্থাৎ, যে সকল কাজ সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় যেমন হিসাবনিকাশ, রিপোর্টিং ইত্যাদি।
কেন এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ?
ব্যাংকিং ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা সুসংহত রাখতে ঈদের মতো বড় ছুটির মধ্যেও কিছুটা নমনীয়তা রাখা জরুরি। এর ফলে আন্তর্জাতিক রপ্তানি কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটবে না, এবং শ্রমিকদের প্রাপ্য সময়মতো পৌঁছে যাবে।
অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নির্দেশনা
ব্যাংকের এসব শাখায় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটির দিনেও বিধি মোতাবেক অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হবে। এই সিদ্ধান্ত ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন, ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে গ্রহণ করেছে।
ঈদুল আজহা ব্যাংক ছুটি নিয়ে এই বছরও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যাতে করে দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত—রপ্তানি ও শ্রমিক কল্যাণ—সুনিশ্চিতভাবে পরিচালিত হতে পারে।
❓ প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQs)
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কতদিন ব্যাংক ছুটি থাকবে?
২০২৫ সালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যাংক ছুটি পড়েছে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত, মোট ১০ দিন।
ঈদের ছুটিতে ব্যাংক কবে খোলা থাকবে?
৫, ১১ ও ১২ জুন তারিখে নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাংক সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।
কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে?
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার, চট্টগ্রাম, টঙ্গী, ভালুকা ও আশুলিয়ার শিল্প এলাকায় নির্দিষ্ট শাখাগুলো খোলা থাকবে।
কোন সময় ব্যাংক খোলা থাকবে?
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত অন্যান্য কার্যক্রম চলবে।
কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কী অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন?
হ্যাঁ, ছুটির দিনে কাজ করা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিধি মোতাবেক অতিরিক্ত ভাতা পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।