জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন লাখো মানুষ। ঈদযাত্রার প্রথম দিনগুলোর তুলনায় পঞ্চম দিনে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকেই বাস ও ট্রেনের পাশাপাশি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেছে ব্যাপক ভিড়।
পদ্মা সেতুর প্রভাব ও লঞ্চ মালিকদের আশা
পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে সারা বছরই লঞ্চযাত্রী কম থাকলেও ঈদের মৌসুমে কিছুটা ভিড় বাড়ে, যা লঞ্চ মালিকদের আশান্বিত করে। এবারও লঞ্চযাত্রায় প্রাণ ফেরার প্রত্যাশা রয়েছে। নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
নিরাপত্তা ও যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা অনুমোদিত ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নিলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চের লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রেলপথেও যাত্রীর চাপ, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা
সদরঘাটের মতো রেলপথেও ঈদযাত্রীর চাপ দেখা গেছে। তবে সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই চলাচল করেছে, ফলে কোনো সিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢোকার পথে কঠোর চেকিং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠা ঠেকাতে কঠোর নজরদারি করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়, কেউ ছাদে উঠতে চাইলে তাকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের ঢল সদরঘাট, রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনালগুলোতে ব্যাপক ভিড় তৈরি করেছে। তবে যথাযথ ব্যবস্থাপনার ফলে এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রার স্বার্থে নৌ ও রেলপথে কঠোর মনিটরিং চালু রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।