লাইফস্টাইল ডেস্ক :
এবার ঈদ আসে, আর সাথে নিয়ে আসে আনন্দ আর উৎসবের বহর। কিন্তু এই আনন্দের মাঝে এক অসংগতি থাকে, তা হলো বাজেট। অনেকেই ঈদের কেনাকাটায় এলাহি খরচ করেন, যখন লগ্নি করতে চাইছেন আগামীদিনের চাহিদা পূরণের জন্য। তবে, যদি কিছু টাকাও বাঁচাতে পারেন ঈদের বাজারে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে, তাহলে ঈদ হয়ে উঠবে আরও আনন্দময়। চলুন, দেখা যাক ঈদের বাজারে টাকা বাঁচানোর কৌশল কী কী হতে পারে।
Table of Contents
ঈদের বাজারে টাকা বাঁচানোর কৌশল: সঠিক পরিকল্পনা
ঈদের সময় একটি সঠিক পরিকল্পনা আপনার খরচের চরিত্র বদলে দিতে পারে। পরিকল্পনা করে দীর্ঘ সময়ের বাজেট তৈরি করা উচিত। আগে থেকেই কেনাকাটার একটি তালিকা তৈরি করুন। মুদি, পোশাক, জুতা, প্রসাধনী—এই সকল কিছু থেকে শুরু করে কী কী প্রয়োজন তা মনোযোগ দিয়ে চিহ্নিত করুন।
বিপুল খরচের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে, দেখা যায় অনেকেই শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তাই, প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। তালিকা তৈরি করার পর সেটি অনুসরণ করতে চেষ্টা করুন।
বাজেট তৈরি করা
ঈদের বাজারে আপনি নিশ্চয়ই একটু খরচের কথা ভাবছেন। এজন্য একটি বাজেট তৈরি করা উচিত। বাজেটের সীমা নির্ধারণ করুন, যাতে কিনতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিসে সময় নষ্ট না হয়। এবার $$ ২০০০/- খরচ না করে যদি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে চলেন, তাহলে ভালভাবে চলবে বাজেটের মধ্যে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, বাজেট তৈরি করলাম, কিন্তু কিভাবে তা কার্যকর করা হবে? এজন্য দরকার সঠিক মূল্য নির্ধারণ জানা। দোকানদারদের সামনে ভালো করে দাম তুলনা করুন। স্থানীয় বাজারে যদি দাম সাধ্যের মধ্যে হয়, তাহলে কেনাকাটা করা যেতে পারে।
স্থানীয় বাজারের তুলনায় শপিং মল
বিভিন্ন শপিং মল বা বিখ্যাত ব্র্যান্ডের দোকানে যাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। বাজার মূল্য তুলনা করুন। লোকে চাইলে শপিং মলে বাস করে সাম্প্রতিক ফ্যাশন কিংবা নামী ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে পারেন, কিন্তু মূল্য পেতে একটু সময় নিন। স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন অফার আর ছাড় থাকে, যা অনেক ক্ষেত্রে শপিং মলের তুলনায় বেশি হতে পারে।
সেল অফার ও ডিসকাউন্ট
ঈদের সময় বিভিন্ন দোকান কোম্পানিগুলি সেল অফার প্রদান করে। এসব অফার যতটা সম্ভব কাজে লাগান। মূলভাবে ঈদের আগে প্রচুর খেলনা, জামাকাপড়, অলংকার ও ফুলের দোকানগুলোতে প্রচুর ডিসকাউন্ট থাকে। সুযোগ পান, তবে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসের উপরে। অন্যথায়, ইচ্ছা কিংবা লোভে পড়ে অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাজেট বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
সঠিক জায়গায় কেনাকাটা
ঈদের বাজারের ভিত্তিতে যেহেতু বাজারে প্রচুর গ্রাহকের আগমন ঘটে, ফলে স্থানগুলোতে ভিড়ও থাকে। তবে যেখানে ভিরের মধ্যে যেন বৈচিত্র্যের বাজার পেতে পারেন সেসব স্থানগুলোকে কিভাবে চিহ্নিত করবেন?
ইন্টারনেট ও অনলাইন শপিং
এই সময়, অনলাইন শপিংয়ের ব্যবহার ব্যাপক বেড়ে গেছে। এটি সাধারণ কেনাকাটার প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দ্রুত করে তোলে। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমন, বিকাশ, পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে স্থানীয় দোকানে বিক্রির জন্য অনলাইন বিদ্যমান রয়েছে। দোকানের ক্ষেত্রে আলাদা অফার ও ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়, যা আপনাকে বাড়িতে বসেই অনলাইন শপিং করার সুযোগ দেয়।
অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে পরিবহনের খরচও বাঁচাতে পারবেন।
স্থানীয় দোকান
স্থানীয় দোকানগুলো হয়ে উঠতে পারে সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প। ঈদের দিন পরিকল্পনা করে দোকানগুলো ঘুরে কেনাকাটা করলে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে। মূলত, স্থানীয় দোকানগুলোর অনেক ক্ষেত্রেই দরদাম নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। স্থানীয় দোকানগুলোর জন্য স্থানীয় পণ্যের সমাহার থাকতে পারে।
ডিউ সময়সূচী ও অ্যাপointমেন্ট করা
অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার কেনাকাটা সময়কে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা। ঈদের সময় বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব একসাথে চলে আসে। তাই, অতি ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটা করার বদলে অন্য সময়কে বেছে নিন যখন ভিড় বেশি হবে না। এটা নিশ্চিত করবে যে আপনি কার্যকরভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সময়ের জন্য মুখোমুখি হতে হবে না।
বন্ধুদের সঙ্গে কেনাকাটা
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একসাথে কেনাকাটা করলে খরচের মধ্যে কমিওয়ালা অঙ্গীকার রয়েছে। একসঙ্গে কেনাকাটায় অনেক জিনিসগুলোয়ের জন্য ডিসকাউন্টে সুবিধা পাওয়া যায়।
উপহার কিনতে সতর্কতা
ঈদ হল উৎসব কিন্তু এতে উপহারের প্রতি মনোযোগ দেবেন। এটা দাতব্য করতে পারেন, কিন্তু উল্টো প্রতি প্যাকেজে নতুন ধরনের পণ্য মিলে না যাওয়ার জন্য চেষ্টা করুন।
অন্তিম কথা
ঈদের বাজারে টাকা বাঁচানোর কৌশল বাস্তবায়িত করার মাধ্যমে শুধুমাত্র খরচের দায়িত্বসূচক কিন্তু আরো আনন্দময় উজ্জ্বল ঈদ নিয়ে আসার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। ঈদ আসার আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা ಮಾಡಿ, এবং উপরোক্ত কৌশলগুলো অনুসরণ করুন। ঈদ হোক আনন্দে পরিপূর্ণ!
জেনে রাখুন-
১. কিভাবে ঈদের বাজেটে সঠিক তালিকা তৈরি করবেন?
ঈদ বাজারে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি তালিকা তৈরি করুন। যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দিন।
২. স্থানীয় দোকানে কেনাকাটা কেন ভালো?
স্থানীয় দোকান থেকে কেনাকাটা করলে আপনার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্তির সুযোগ বেশি থাকে।
৩. অনলাইন শপিংয়ের কি সুবিধা আছে?
অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে ডিসকাউন্ট, অফার এবং সময়ের সাশ্রয় পাওয়া যায়।
৪. ঈদ কেনাকাটা কিভাবে সময়সূচী করবেন?
ঈদের সময় দোকানে ভিড়ের সময়চিত্র বিবেচনা করে অন্য সময় চয়ন করুন।
৫. বন্ধুদের সাথে কেনাকাটা করলে কি সুবিধা?
বন্ধুদের সাথে কেনাকাটা করলে গ্রুপ ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুযোগ থাকে।
৬. ঈদ উপলক্ষে উপহার কেনা কিভাবে বাজেট বানাবেন?
আবশ্যকীয় উপহারের একটি তালিকা তৈরি করুন, যাতে বাজেট প্রশস্ত করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।