ঈদুল আজহা হল ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে এক অন্যতম, যার কেন্দ্রবিন্দু হলো কোরবানি। কিন্তু কোরবানি শুধু একটি ধর্মীয় কাজ নয়; এর সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা। তাই প্রশ্ন উঠে—ঈদুল আজহা নিরাপত্তা বিধি পশু জবাইয়ের আগে ও পরে কতটা মানা হয়? বাস্তবতা বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপত্তা নিয়মাবলি মানা হয় না, যা জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করে।
Table of Contents
ঈদুল আজহা নিরাপত্তা: পশু জবাইয়ের আগের প্রস্তুতি কতটা সুশৃঙ্খল?
কোরবানির পশু নির্বাচনের সময় অনেকেই পশুর স্বাস্থ্য ও আচরণ লক্ষ্য করেন না। অথচ অসুস্থ পশু জবাই করলে তা থেকে রোগ ছড়াতে পারে।
স্বাস্থ্য সনদ ছাড়াই অনেক পশু হাটে বিক্রি হয়। ফলে প্রাণীর মধ্যে যেকোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থাকলে, তা সহজেই মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যেসব পশু দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে হাটে আসে, তাদের ক্লান্তি, পরিবহনজনিত আঘাত কিংবা পুষ্টিহীনতা থাকে।
সঠিক নিরাপত্তা মানতে হলে হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা, এবং খামার পর্যায়ের স্ক্রিনিং প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত।
জবাই ও পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি কতটা অনুসৃত হয়?
জবাইয়ের স্থান নির্বাচন, ব্যবহৃত ছুরি বা যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা, পানি ও পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা রাখা এসব সবকিছু নিরাপদ কোরবানির জন্য অপরিহার্য। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, অনেকেই রাস্তায়, নালার পাশে বা বাড়ির খোলা জায়গায় পশু জবাই করেন—যেখানে কোনো স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে না।
পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে কোরবানির রক্ত, বর্জ্য ও দুর্গন্ধ পোকা-মাকড় বা জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জবাই পরবর্তী পরিচ্ছন্নতা না রাখলে হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, গ্যাস্ট্রোএনটেরাইটিসসহ বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
অনেকেই ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি না ধুয়ে এক পশুর পর আরেক পশু জবাই করেন, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এছাড়া, মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও সঠিক তাপমাত্রা বা হাইজিন মেনে চলা হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন।
FAQs
পশু জবাইয়ের আগে কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি?
পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরিচ্ছন্ন জায়গায় জবাইয়ের ব্যবস্থা এবং জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার জরুরি।
জবাইয়ের সময় কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে?
অপরিষ্কার পরিবেশে জবাই করলে সংক্রমণ, দুর্গন্ধ ও পোকামাকড় ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।
সিটি কর্পোরেশনের কোনো নির্দেশনা থাকে কি?
হ্যাঁ, নির্ধারিত স্থানে কোরবানি ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ থাকে।
জবাই পরবর্তী কী সতর্কতা জরুরি?
জবাইয়ের স্থান পরিষ্কার রাখা, রক্ত ও বর্জ্য অপসারণ এবং মাংস সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।
সচেতনতা কীভাবে বাড়ানো যায়?
মিডিয়া প্রচারণা, স্কুল ও মসজিদে সচেতনতামূলক বার্তা এবং সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে তা বাড়ানো সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।