জুমবাংলা ডেস্ক : ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার বিনামূল্যের ও মুক্ত সফটওয়্যার অভ্র কী-বোর্ড তৈরি করেন মেহদী হাসান খান। তিনি একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক ও প্রোগ্রামার।২০০৩ সালে তার অভ্র কী-বোর্ড উন্মুক্ত করে দেন। ইংরেজি অক্ষরে বাংলা লেখার জন্য খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায় অভ্র। কিন্তু তিনি কখনোই এর বিনিময়ে কিছু নেননি। এমনকি একুশে পদকের জন্য আবেদনেও ‘না’ বলেছিলেন অভ্র কী-বোর্ডের নির্মাতা।
অভ্র’র নির্মাতা মেহদিকে নিয়ে ডা. মানিক চন্দ্র দাস বলেছিলেন দুর্দান্ত একটি কথা। তার বাংলা ভাষার কী-বোর্ড নিয়ে আলাপ করতে গেলে তাকে টাকার প্রস্তাব দিয়ে জানানো হয়, কত করে নিবি? জবাবে মেহদি অবাক হয়েছিলেন! বলেছিলেন-কিসের কত করে নিবো? এরপরে মেহদী যা বলেন, তাতে তাজ্জব হয়ে যান ডা. মানিক। মেহদি উত্তর দেয়, ফ্রি। ভাষার জন্য টাকা নেবো কেন?
এই মেহদিকে নিয়ে একটি গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন। সাবেক এই অতিরিক্ত সচিব একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেহদি হাসান খানকে নিয়ে। যা রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘একুশে পদক প্রাপ্তির আবেদনের নিয়ম জেনে নিয়ে ফর্ম ডাউনলোড করে অভ্র কিবোর্ডের ডাঃ মেহদী হাসান খান সাহেবের সাথে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই মোবাইল ফোনে কথা বলে তাকে কিছু তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। ফর্ম পূরণের জন্য তথ্যগুলো দরকার ছিল। তথ্যগুলো পেলে ৩য় পক্ষ হয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া যেত। পক্ষও রেডি করে ফেলেছিলাম। তিনি সোজা না’ করে দিলেন। কিছুতেই রাজী করাতে পারিনি।’
অর্থাৎ একুশে পদকের জন্যও এগিয়ে আসেননি তিনি। যে অভ্র বাংলায় লেখার স্বাধীনতা দিয়েছে। এই স্বাধীনতা দেয়ার জন্যও মেহদীর অনেক কিছু প্রাপ্য ছিল। কিন্তু তীব্র প্রচারবিমুখ আর বিনয়ী ছেলেটা কিছুই নিলো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।