জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বলেছেন, সরকার নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করলে বিদ্যমান পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হবে। পক্ষান্তরে আমরাই রোড ম্যাপ ঘোষণা করব-এ ধরনের মানসিকতা থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে।
শনিবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটি (পিএমআরএস) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র নির্বাচন ও সংস্কার : আশু করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিএমআরএস’র ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।
প্রধান আলোচক ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন পিএমআরএস’র চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমএ আজিজ, সাবেক সচিব মো. আব্দুল খালেক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড.মাহদী আমিনসহ আরও অনেকে।
এসএমএ ফায়েজ বলেন, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের মতানৈক্য দৃশ্যমান। বলতে চাচ্ছি, আরেকটু ধৈর্যের পরীক্ষা দিলে কি আমাদের ক্ষতি হবে? সবাইকে আরও বেশি ভাবতে হবে। বিএনপির উচিত নির্বাচন নিয়ে আরও বেশি আলোচনা করা। ডিসেম্বর ও জুনের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। আলোচনার মাধ্যমে এ দূরত্ব কমানো সম্ভব।
অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, দেশের সংস্কার দরকার আছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন কোনো এজেন্ডা ছিল বলে মনে পড়ছে না। এখন শুনছি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন-এই তিনটি তাদের এজেন্ডা। এসব নিয়েই এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি করার দায়িত্ব অবশ্যই নির্বাচিত সরকারের। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করতে পারে। কিন্তু এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার সুযোগ নেই।
এমএ আজিজ বলেন, অনির্বাচিত সরকার কখনো দেশের সংবিধান সংশোধন করার নৈতিক ক্ষমতা রাখে না। এটা করতে পারে শুধুমাত্র নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভাবে জলঘোলা হচ্ছে।
মাহদী আমিন বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এখন যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় উল্লেখ রয়েছে।
কী-নোট উপস্থাপনকালে সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের বিরোধিতা কেউ করছে না। সব প্রক্রিয়াই এক সঙ্গে চলতে পারে। এটা নিয়ে বিতর্কের মানে হয় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।