বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের একটি কোম্পানি প্রথমবার তৈরি করতে চলেছে যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিক বিমান ‘ই৯এক্স’। টেকসই জ্বালানি সংকট রোধে এই বিমান নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানটি আকাশে উড়বে বলে প্রত্যাশা নির্মাতাদের।
বেশি জ্বালানি খরুচে জেট ইঞ্জিন ও টার্বোপ্রপের বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে এই বিমান উড্ডয়ন করা সম্ভব হবে, যা বিমান পরিবহনে জলবায়ুর প্রভাব কমাতে ভূমিকা রাখবে। নির্মাতা কোম্পানির নাম ‘এলিসিয়ান’। নির্মাতারা মনে করেন, বৈদ্যুতিক যাত্রীবাহী বিমান নির্মাণের আগে ব্যাটারি প্রযুক্তির আরও বিকাশ হওয়া জরুরি।
সিএনএন জানায়, বৈদ্যুতিক বিমানটি ৯০ জন যাত্রী নিয়ে ৫০০ মাইল বা ৮০৫ কিলোমিটার উড়তে পারবে। বিমানটি ৯০ শতাংশ কার্বন নির্গমন ঘটাতে সক্ষম। নির্মাতারা বিমানটির বাণিজ্যিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন। আগামী দশকে বিমানটির উড়ান মিলতে পারে।
এলিসিয়ানের ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টর রেনার্ড ডি ভ্রিস বলেন, শক্তিশালী ব্যাটারি প্রযুক্তির উদ্ভাবন খুবই জরুরি। এই প্রযুক্তির বিকাশ কীভাবে ঘটানো যায়, তা নিয়ে কাজ হচ্ছে।
‘ই৯এক্স’ বিমানটি এখন শুধু পরিকল্পনাতেই আছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ নকশা আঁকা হবে এবং সেই অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ উড়োজাহাজ নির্মাণ করা হবে। এতে থাকবে আটটি প্রপেলার ইঞ্জিন। ডানার পরিমাপ প্রায় ১৩৮ ফুট। এটি বোয়িং ৭৩৭ বা এয়ারবাস এ৩২০-এর চেয়ে বড় হবে। ৪৫ মিনিটের মধ্যে যাতে ব্যাটারি চার্জিং সম্ভব হয়, সেই পরিকল্পনামতে এগোচ্ছে কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।