বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মোটরবাইকের ক্ষেত্রে ভারতে বেশ জনপ্রিয় কেটিএম। এই সংস্থার ডিউক সিরিজের বাইক দেখেনি বা চড়েনি এমন মানুষ খুব কম। তরুণদের মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় বাইক সংস্থা কেটিএম। তবে বাইক ছেড়ে এবার স্কুটারের উপর মনোযোগ দিয়েছে সংস্থা। তাও আবার ইলেকট্রিক স্কুটার।
বাজারে জল্পনা, ম্যাক্সি ডিজাইনের ইলেকট্রিক স্কুটার ভারতে লঞ্চ করতে পারে কেটিএম। যদিও এই দাবি এত তাড়াতাড়ি করা ঠিক নয়। কারণ ইলেকট্রিক স্কুটি সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও জানায়নি কেটিএম। কিন্তু সম্প্রতি ইউরোপে এই স্কুটার টেস্ট করতে দেখা গিয়েছে। যা থেকে কারও কারও ধারণা ভারতে স্কুটারটি লঞ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইডেনের সংস্থা Husqvarna এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্কুটারটি বানাচ্ছে কেটিএম। এই ইলেকট্রিক স্কুটারে নাকি মিলবে ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। যা সাধারণত মোটরসাইকেলে দেখা যায়।
স্কুটারের সুইং আর্ম ডিজাইন অনেকটাই কেটিএম বাইকগুলির মতো। যেহেতু ভারতে এই সংস্থার ভালো ব্যবসাপাতি রয়েছে তাই মনে করা হচ্ছে স্কুটারটি ভারতেও লঞ্চ করা হবে। এই ইলেকট্রিক স্কুটারে ফিচার্স পাওয়া যাবে বড় টাচস্ক্রিন এবং টুইন হেডলাইট।
খুব সম্ভবত 4kw এবং 8kw এই দুই ব্যাটারির সঙ্গে আসতে পারে কেটিএম ইলেকট্রিক স্কুটি। সর্বোচ্চ গতি 45 থেকে 100 কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে। ইলেকট্রিক স্কুটারটি ভারতে বাজাজ অটো-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উৎপাদন হতে পারে। তবে প্রথমে আন্তর্জাতিক বাজারে লঞ্চ হবে তারপরই দেশে।
বিগত কয়েক বছর ইলেকট্রিক টু হুইলার ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করছে বাজাজ এবং কেটিএম। ইতিমধ্যে ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করে ফেলেছে বাজাজ। ভারতীয় বাজারে বেশ পরিচিত নাম বাজাজ চেতক। তারই ইলেকট্রিক ভার্সন এনেছে সংস্থা। সম্প্রতি এর একটি নতুন এডিশনও লঞ্চ হয়েছে।
আপাতত জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই ইলেকট্রিক স্কুটারের একটি প্রোটোটাইপ গ্রাহকদের দেখাতে পারে কেটিএম। ভারতীয় বাজারে ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারের কথা যদি বলি, তাহলে এই ক্ষেত্রে অনেক সংস্থা ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে।
দৌড়ে রয়েছে ওলা থেকে শুরু করে টিভিএস, বাজাজ, আথার এনার্জি, সিম্পেল ওয়ান, হিরো ইলেকট্রিক ইত্যাদি। এই তালিকায় যদি কেটিএমও যোগ দেয় তাহলে গ্রাহকদের বিকল্পের দরজা আরও অনেকখানি খুলে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।