লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষের যাত্রা সহজ করার জন্য এই ট্রেনের উৎপত্তি। প্রতি দিন কোটি কোটি মানুষ ট্রেনে এক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন। আর ঠিক এই কারণেই ভারতীয় রেলকে এ দেশের লাইফ লাইনও বলা হয়ে থাকে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে, যখন আমরা ট্রেনে করে কোথাও যাই তখন একবার হলেও একটা প্রশ্ন আমাদের মনে জাগে তা হল,ট্রেনের কোচ লোহার, ট্রেন চলে কারেন্টে! তবুও কেউ কখনও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় না কেন?
ভারতের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদূরপ্রসারী। লর্ড ডালহৌসী প্রথম মুম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেছিলেন। তারপর গোটা ভারত জুড়েই তা বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে তা মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জুড়ে গেছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ট্রেন ডিজেল এ চলত। কিন্তু বর্তমানে যুগের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ট্রেনও অত্যাধুনিক হয়েছে এবং তা এখন ইলেকট্রিকে চলে।
ট্রেন যে কারেন্ট-এ চলে, সেই বিদ্যুৎ ইঞ্জিনের উপর থাকা একটি ডিভাইসে বা যন্ত্রাংশে সঞ্চালিত হয়। এই বিষয়টির সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না! ট্রেনের কামরাগুলির সঙ্গে সরাসরি হাইভোল্টেজ তারের কোনও যোগ হয় না। তাই ট্রেনের কামরা বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা একদমই থাকেনা।
ইঞ্জিনের উপরিতলে থাকা প্যান্টোগ্রাফের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকে হাইভোল্টেজ তারের। এখন সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন হল, কোচের সঙ্গে হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শ না থাকলেও, ইঞ্জিনের উপরে থাকা ডিভাইসের সঙ্গে তো সরাসরি সংযোগ থাকে। কাজেই এমন পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই!
আসলে ইঞ্জিনের প্যান্টোগ্রাফের পাদদেশে ইনসুলেটর থাকে, যাতে কারেন্ট ইঞ্জিনে ডাইরেক্ট সঞ্চালিত হতে না পারে। এছাড়াও, ট্র্যাকশন ট্রান্সফরমার, মোটর প্রভৃতি বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ গুলি ছাড়ার পরে, রিটার্ন কারেন্ট চাকা এবং এক্সেলের মাধ্যমে রেলে এবং আর্থ পোটেনশিয়াল কন্ডাক্টরের মাধ্যমে ফিরে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।