লাইফস্টাইল ডেস্ক : শুঁটকি মাছের জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও যেন কোনো হোমমেড খাবার নেই। বিশেষত পূর্ববঙ্গীয়দের এ মাছ খুবই প্রিয়। সাধারণত রুপচাঁদা, লইট্টা, ছোট চিংড়ি, গজার, পুঁটি, কাঁচকি ইত্যাদি মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়।
সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে তাজা মাছ সহজেই পচে যায়। খাদ্য সংরক্ষণের এক প্রাচীন পদ্ধতি হল খাদ্য শুকানো। মাছকে কড়া রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ তেমনই একটি পদ্ধতি। মাছ রোদে রাখা হয় জল অপসারণের জন্য। এর ফলে এই মাছে কোনও জীবাণু জন্মাতে পারে না। মাছকে এভাবে সংরক্ষণ করার জন্য শুকানো, ধোঁয়ার ব্যবহার এবং লবণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে সবচেয়ে পুরোনো এবং সহজ পদ্ধতি হল মাছকে বাতাস ও রোদে শুকানো।
শুঁটকি মাছের গন্ধ দূর করতে তেল-মশলা দিয়ে কষিয়ে রান্না করতে হয়। অনেকেই এই গন্ধ সহ্য করতে পারেন না, ভুলেও তাকান না এই মাছের দিকে। শুঁটকি মাছের রয়েছে দারুণ উপকারিতা। জানুন কীভাবে এ গন্ধ দূর করবেন।
শুঁটকি মাছের গন্ধ দূর করতে আপেল ভাল কাজে লাগে। এক টুকরো আপেল, মাছ ভাজার সময় মাছের মধ্যে দিয়ে দিন। আপেল মাছের গন্ধ শোষণ করে নিতে পারে। মাছ ভাজা হয়ে গেলে আপেল তুলে ফেলে দিন। এতে করে মাছের গন্ধ বেশি ছড়ায় না।
* রান্নার আগে সামান্য জলে ১/৪ কাপ লেবুর রস বা ১/৪ কাপ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এই জলে কিছুক্ষণ মাছ ভিজিয়ে রাখুন। এটি শুঁটকি রান্নার গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
* মাছ রান্নার সময় কড়াইতে এক চামচ পিনাট বাটার যোগ করুন। এতে গন্ধ দূর হবে এবং মাছের স্বাদও খারাপ হবে না।
* এই মাছ রান্নার আগে সেদ্ধ করে নিয়ে হয়। সেদ্ধ বা ভাজার সময়, সামান্য দারুচিনির যোগ করুন। দারুচিনি মাছের তীব্র গন্ধ কাটাবে।
* শুঁটকি রান্নার সময় গ্যাসের কাছে একটি ভেজা তোয়ালে ঝুলিয়ে রাখুন। এই ভেজা তোয়ালে মাছের গন্ধ অনেকটাই শুষে নেয়।
* শুঁটকি মাছ রান্নার আগে অন্তত আধাঘণ্টা কাচা দুধে ভিজিয়ে রাখুন। মাছের বাজে গন্ধ দুধ শোষণ করে নেয়। এটি মাছের স্বাদ বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করে না।
* এই মাছ সর্ষের তেলে রান্না করুন। এতে খারাপ গন্ধ অনেকটা দূর হয়ে যায়।
* রান্নার সময় একটি পাকা টমেটোকে ভাল করে হাত দিয়ে চটকে অথবা কুচি করে কড়াইয়ে দিয়ে দিন। এরপর শুঁটকি দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। এরপর রসুন কুচি দিন দিয়ে, ১/২ কাপ লেবুর রস যোগ করুন। এতে শুঁটকির খারাপ গন্ধ কমবে। স্বাদও বেশি ভালো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।