ইলন মাস্ক এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করবেন

ইলন মাস্ক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরির বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা জানান। খবর রয়টার্স।

ইলন মাস্ক

মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মটিকে একজন ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। প্রশ্নে ব্যবহারকারী তাকে নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গড়ে তোলার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। যেখানে ওপেন সোর্স অ্যালগরিদম থাকবে, বাক্স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে এবং প্রোপাগান্ডার প্রভাব থাকবে খুবই কম।

ইলোন নিজেও টুইটারের একজন বিস্তৃত ব্যবহারকারী। তবে তিনি যোগাযোগ মাধ্যম ও এর নীতিমালার বিষয়ে সমালোচনা জানিয়েছেন। তার মতে, প্লাটফর্মটি বাক্স্বাধীনতার মূলনীতিগুলোকে মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবমূল্যায়ন করেছে।

নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার আগে একটি টুইটার জরিপ করেন টেসলার প্রতিষ্ঠাতা। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, বাক্স্বাধীনতার মূলনীতিগুলো টুইটার মেনে চলে তেমন কথা ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস করেন কিনা? সেখানে ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী না ভোট দেন।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিলেন শিক্ষিকা

শুক্রবারে জরিপটি চালুর সময়ে মাস্ক বলেছিলেন, ভোটের ফল কিন্তু খুব গুরুত্ব বহন করবে। তাই সতর্কতার সঙ্গে ভোট দিন।

মাস্ক যদি নতুন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করার পথে এগোন, তাহলে তিনি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান পোর্টফোলিওতে যুক্ত হয়ে যাবেন। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের বাক্স্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্থলাভিষিক্ত করছে। পাশাপাশি তারা সেসব ব্যবহারকারীকে নিজেদের প্লাটফর্মে টানার চেষ্টা করছে, যারা মনে করেন টুইটার, মেটা প্লাটফর্মের ফেসবুক এবং অ্যালফাবেটের গুগল ও ইউটিউব তাদের দর্শনকে অবদমন করেছে।

কোনো প্রতিষ্ঠানই এখন পর্যন্ত মূল ধারার প্লাটফর্মগুলোর মতো ব্যবহারকারী বা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। সেটা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল, টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী গেটার অ্যান্ড পারলার অথবা ভিডিও সাইট রাম্বলই হোক না কেন।