আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বছরের পর বছর খরায় ভোগা আমিরাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃষ্টি নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছেন বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মরুভূমির ওপর অবস্থিত এই ধনী উপসাগরীয় দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই অনাবৃষ্টির সমস্যার সমাধানে প্রচুর অর্থ ও গবেষণা ব্যয় করে আসছে। তবে, যতই চেষ্টা করা হোক, দেশটিতে বৃষ্টি বরাবরই বিরল। তবে সম্প্রতি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত “ইন্টারন্যাশনাল রেইন এনহান্সমেন্ট ফোরাম”-এ নতুন আশার কথা শোনা গেছে। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে বৃষ্টিপাত বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে আমিরাত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লাউড সিডিং আরও কার্যকর করা সম্ভব। ক্লাউড সিডিং হল এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে প্লেনের সাহায্যে মেঘের ভেতরে লবণ বা রাসায়নিক উপাদান ছিটিয়ে দেওয়া হয়, যাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশেনোগ্রাফির ড. লুকা ডেলে মোনাচে বলেন, ‘আমরা প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি, এখন শুধু শেষ মুহূর্তের কিছু পরিবর্তন বাকি আছে।’
ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত প্রায় ১০-১৫% পর্যন্ত বাড়াতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে মেঘের প্রকৃতির ওপর। ক্লাউড সিডিং শুধুমাত্র পুফি, কিউমুলাস মেঘের ক্ষেত্রে কার্যকর। ভুল সময়ে বা ভুল জায়গায় প্রয়োগ করলে এটি বৃষ্টিপাত কমিয়েও দিতে পারে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরেই জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য নানান প্রযুক্তি অনুসন্ধান করছে। গ্রীষ্মের তীব্র উত্তাপ এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে পানির সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বছরের পর বছর ধরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পর, এই এআই-চালিত ক্লাউড সিডিং উদ্যোগ আমিরাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
ড. মোনাচে বলেন, ‘আপনাকে অবশ্যই সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে এটি প্রয়োগ করতে হবে। আর এ কারণেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।