লাইফস্টাইল ডেস্ক: পুরুষদের তুলনায় নারীরা আবেগ বেশি অনুভব করেন এবং বেশি ভালোভাবে আবেগ প্রকাশ করতে পারেন। কারণ সেভাবেই নারীদের দৈহিক ও মানসিক গড়ন তৈরি হয়েছে। বয়ঃসন্ধিকালে মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু পরিবর্তনই নারীদেরকে আবেগ প্রকাশে বেশি সক্ষম করে তোলে। আর পুরষরা সাধারণত তাদের বিশেষ কিছু আবেগ প্রকাশ না করে বরং লুকাতে চেষ্টা করেন।
আবার নারীরা সাধারণত ক্ষুব্ধ হলে তা ভাষায়ই প্রকাশ করতে পারেন সহজে। অন্যদিকে, পুরুষরা তাদের মেজাজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শারীরিকভাবে রাগ প্রকাশ করতে গিয়ে বিপদে পড়েন। পুরুষদের মস্তিষ্কের যে অংশ রাগ নিয়ন্ত্রণ করে তা তাদের মস্তিষ্কের সেই অংশের সঙ্গে যুক্ত যা শারীরিক তৎপরতারও নির্দেশ দেয়।
আর নারীদের মস্তিষ্কের যে অংশ রাগ নিয়ন্ত্রণ করে তা তাদের মস্তিষ্কের কথা বলার অংশের সঙ্গে যুক্ত। আর এ কারণেই নারীরা ক্ষুব্ধ হলে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। আর পুরুষরা শারীরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিপদে পড়েন।
তাছাড়া, নারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ভয় এবং দুঃখবোধ তৈরি হতে পারে। কিন্তু পুরুষদের মধ্যে সংঘর্ষ থেকে তাড়না তৈরি হয়। এর ইতিবাচক দিক হলো এর ফলে পুরুষরা প্রতিযোগীতায় জয়ী হয়। আর নেতিবাচক দিক হলো এর ফলে পুরুষরা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরা তাদের জীবন সঙ্গিনী যদি যৌন প্রতারণা করে তা দ্রুত ও সহজে টের পেয়ে যান। আর পুরুষরা এতে খুব বেশি বেদনাহত হন। নারীরাও তাদের পুরুষটি যৌন প্রতারণা করলে মর্মাহত হন। কিন্তু তারা বেশি বেদনাহত হন যদি তাদের পুরুষটি অন্য কোনো নারীর সঙ্গে আবেগগতভাবে বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে, পুরুষরা বেশি বেদনাহত হন যদি তাদের নারীটি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে দৈহিকভাবে ঘনিষ্ঠ হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।