লাইফস্টাইল ডেস্ক: যারা সবেমাত্র চাকরিজীবনে প্রবেশের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এই পরামর্শগুলো তাদের জন্যে। স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানে আকাঙ্ক্ষিত চাকরিটা বাগিয়ে নিতে প্রাথমিক অবস্থায় সিভি বা রিজ্যুমিতে নিজেকে যোগ্য বলে তুলে ধরতে হবে। এরপর আসে ইন্টারভিউয়ের পালা। এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকলেও কিছু ভুল হয়েই যায়।
খুঁটিনাটি ভুলেও কিন্তু বড় সম্ভাবনা ধুলোয় মিশতে পারে। এখানে ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা ৬টি ভুলের কথা তুলে ধরেছেন। এগুলোর বিষয়ে সাবধান থাকা বাঞ্ছনীয়। অবশ্য এদের সম্পর্কে সবারই কম-বেশি ধারণা রয়েছে। তবুও এ নিয়ে সিরিয়াস থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞরা।
১. অনুপযুক্ত পোশাক
যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সেখানকার ড্রেস কোড যদি ক্যাজুয়ালও হয়, তবুও ইন্টারভিউয়ে আপনাকে ফরমাল পোশাকে উপস্থিত হওয়া উচিত। ক্যাজুয়াল পোশাক চাকরিদাতাদের মনে আপনাকে অপেশাদার মানসিকতার বলে প্রতীয়মান করবে। কাজেই ইন্টারভিউয়ে কখনও ক্যাজুয়াল পোশাকে যাবেন না।
২. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যথেষ্ট খবর না নেওয়া
এই প্রস্তুতি আপনাকে ‘কেন আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান?’ টাইপের প্রশ্নের উত্তর দেওয়াকে সহজ করবে। এছাড়া যেখানে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তাদের সম্পর্কে না জানাটা বোকামির পরিচায়ক হবে। প্রশ্নকর্তারা এটা বুঝে ফেলবেন এবং আপনার আগ্রহ-উদ্দীপনা প্রশ্নের মুখে পড়বে। প্রতিষ্ঠানও চায় নতুনরা তাদের সম্পর্কে জেনেই আগ্রহী হয়ে উঠুক।
৩. মনোযোগ থেকে সরে যাওয়া
বিশেষ করে ভার্চুয়াল ইন্টারভিউয়ের কথাই এখানে বলা হচ্ছে। সাধারণত বাসা-বাড়িতেই বসে প্রশ্নকর্তাদের মুখোমুখি হবেন। কাজেই যে কক্ষে বসবেন তা যেন গোছালো থাকে এবং চারপাশটা নিশ্চুপ হয়। এখানে ঝামেলা হলে আপনার সম্ভাবনা কমে আসবে বৈকি।
৪. রিজ্যুমিতে মিথ্য তথ্য
রিজ্যুমিতে এমন কিছু লিখবেন না যা সত্য নয়। অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়বেন যদি অসত্য তথ্য থাকে এবং প্রতিষ্ঠান তার সত্যতা প্রমাণ করতে বলে। কাজেই সবকিছু যা সত্য তা-ই দিন।
৫. অতিকথন
আপনার সব উত্তর, এমনকি নিজের কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটাও সংক্ষেপ ও সহজবোধ্য রাখুন। অযথা অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন না। এতে প্রশ্নকর্তা মনে করতে পারেন, আপনার কাছে কী জানতে চাওয়ার হয়েছে তা আপনি বোঝেননি অথবা যা জানতে চাওয়া হয়েছে তার সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণাই নেই। তাছাড়া অতিকথনের জন্যে আপনাকে অপরিণত আর অগোছালো ব্যক্তি বলে ধরে নেওয়া হতে পারে।
৬. নিজের কোনো প্রশ্ন না থাকা
চাকরিপ্রার্থী কেবল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাবেন এ ধারণা ভুল। প্রার্থী যদি স্মার্ট হন তবে তারও কিছু প্রশ্ন থাকবে বলেই মনে করে প্রতিষ্ঠান। তবে প্রয়োজন ও গুরুত্ব বিচারে প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্নের খাতিরে অযাচিত প্রশ্ন করা যাবে না।
সূত্র: টাইমস জবস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।