সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানা জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে গাছপালা কেটে ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তার অপর পাশে একই মালিকের জমি রেখে পৌরসভার রাস্তা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: নুরুল ইসলাম কুইন্টা ও পৌরসভার কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম পিন্টু।
মানিকগঞ্জ পৌরমেয়র, মানিকগঞ্জ সদর থানা, মানিগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর করা লিখিত আবেদন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বর্ণিত ভূমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করা অবস্থায় ইতোপূর্বে মানিকগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে রাস্তা নির্মানকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হলে শফিকুল ইসলাম পিন্টুর মাতা আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আদালত থেকে ডিক্রীপ্রাপ্ত হওয়ার পর মানিকগঞ্জ পৌর কর্তৃৃপক্ষ কিছুদিন রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখে। এরপর গতবছরের ১৫ই ডিসেম্বর তারিখে পৌর কর্তৃপক্ষ পুরাতন রাস্তা রেখে ওই জমির ওপর দিয়ে নতুভাবে রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে বসতবাড়ীর বেড়া ভাংচুর ও গাছপালা কেটে জমির মালিককে বেদখল করার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা প্রদান করিলে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম কুইন্টা, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সহ পৌরসভার কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শফিকুল ইসলাম পিন্টু ও তার পরিবারের সদস্যদের শরীরে হাত দিয়ে মারমুখী ভাব নিয়ে ধাক্কাইয়া সড়াইয়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাস্তার কাজ করতে থাকে।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর তারিখে বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা করা হয়। সেসময় পৌর কর্তৃপক্ষ বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে আর আসবেনা বলে জানালে মামলাটি খারিজ হয়। এরপরও পুনরায় ওই জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাটি চলমান থাকাবস্থায় গত ৭ এপ্রিল (শুক্রবার) স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম কুইন্টা তার শ্রমিকদের নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমির ওপর দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করেন।
ভুক্তভোগী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম পিন্টু বলেন, ইতোপূর্বে আমার বাড়ির জমির উত্তর ও পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তা নেয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী পৌরসভার প্ল্যান পাস করিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ করে বসবাস করছি। ৩০/৩৫ বছরের পুরাতন রাস্তাটি বাদ দিয়ে নতুন রাস্তার নামে আমার ক্ষতি করছে। মেয়রের কাছেও পূর্বের স্তানে রাস্তা করার আবেদন করেছি। কিন্ত এতকিছু করেও আমি কোন প্রতিকার পাইনি। আমি সরকারের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম কুইন্টা বলেন, তার জায়গায় রাস্তা করা হচ্ছেনা। রাস্তার জায়গায়ই রাস্তা করে হচ্ছে। যেদিন তার বেড়া সড়ানো হয়েছে সেদিন এলাকাবাসী ও ১০ জন পুলিশসহ প্রশাসনের অনেক লোক উপস্থিত ছিল। ডিসি, এসপি স্যারও বিষয়টা জানে। তদন্ত ওসি এসেও স্পট দেখে গেছে। বিশ্বাস না হলে আপনি স্পটে এসে সরেজমিনে দেখে যা খুশি রিপোর্ট করেন, তাতে কোন সমস্যা নাই।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী বলেন, আমার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে কি’না মনে নেই। বিষয়টি জেনে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নিব।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।