স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার রানপাহাড়ে আটকে গেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল তাদের। তবে কাগজে-কলমে এখনো সেমির দৌড়ে আছে ইংলিশরা।
শনিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান করে প্রোটিয়ারা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ২২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭০ রানে থেমে গেছে ইংলিশরা। এতে ২২৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এইডেন মার্করামের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে ইংল্যান্ড। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলেন তারা।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন লুঙ্গি এনগিডি। তার এক্সট্রা বাউন্স বলে ডুসেনের তালুবন্দী হন বেয়ারস্টো (১০)। পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন জো রুট। জানসেনের বলে মিলারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।
এর পরেই আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ইংলিশ ব্যাটাররা। ডেভিড মালান (৬), বেন স্টোকস (৫), জস বাটলার (১৫) ও হ্যারি ব্রুকরা (১৭) সাজঘরে ফিরে যান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় ইংলিশরা। পরে স্রেফ হারের ব্যবধান কমান ক্রিস উড-গাস অ্যাটকিনসন জুটি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ঝড়ো গতিতে রান তোলেন এ দুই ব্যাটার।
উড-গাস জুটির ব্যাট থেকে আসে ৭০ রান। অবশ্য এ রান প্রোটিয়াদের হারানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচের ২২তম ওভারের শেষ বলে গাস অ্যাটকিনসনের স্ট্যাম্প ভাঙেন কেশব মহারাজ। এতে ইংলিশদের ইনিংস থেমে যায় ১৭০ রানে।
এদিন প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন জেরার্ল্ড কোয়েৎজে।
এর আগে টস হেরে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে প্রোটিয়াদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস। কিন্তু প্রথম ওভারেই রিস টপলির বলে জস বাটলারের তালুবন্দী হন ডি কক (০)।
এরপর ক্রিজে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। পরে মাঠের চারপাশ থেকে রান তুলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। একই ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধ শতক তুলে নেন হেনড্রিকস।
ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ডুসেন। আদিল রশিদের বলে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দী হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬০ রান করেন এ ব্যাটার। পরে বাইশ গজে আসেন প্রোটিয়া দলপতি এইডেন মার্করাম। কিন্তু ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে ফিরে যান প্রোটিয়াদের দলপতি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
এরপর ইংলিশ বোলারদের বেধড়ক পেটানো শুরু করে হেনরিখ ক্লাসেন-মার্কো জানসেন জুটি। তারই ধারাবাহিকতায় ৬১ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ক্লাসেন। এর পরেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। গাস অ্যাটকিনসনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০৯ রান করেন ক্লাসেন।
শেষ পর্যন্ত ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন মার্কো জানসেন। এতে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে ৩৯৯ রানে।
এদিন ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রিস টপলি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।