বিনোদন ডেস্ক : যশোরের মেয়ে অনন্যা জানালেন, সেখানকার বিশ্বমঞ্চে প্রায় ৭৫টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে তাকে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন কোনো প্রতিযোগী। আর তিনিই হলেন অনন্যা, যিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-নারী বিষয়ক সম্পাদক।
অনন্যা বলেন, আমার বাবা ১৯৭৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে পারিবারিকভাবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের আইডিওলজি মিশে আছে। গত সাত বছর যাবত আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। চার বছর ধরে ঢাবির ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য, রোকেয়া হল ছাত্রলীগের প্রার্থী ছিলাম। পরে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ- সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম এবং এখন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
‘স্টুডেন্ট লিডারশিপ অনেক বড় একটি ব্যাপার। করোনা বা বন্যা থেকে সবসময় আমি মানুষের পাশে থেকেছি এবং স্টুডেন্টদের সাথে আছি। অন্য যারা আছেন তাদের সবসময় স্টুডেন্ট লিডারশিপে আসতে আহ্বান জানাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেও একজন নারী। এজন্য নারীর পথচলা এখন আগের চেয়ে বেশি সহজ।’ বলছিলেন অনন্যা।
রাজনীতির বড় পদ অথবা বিশ্বমঞ্চে সুন্দরী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নশিপ যে কোনো একটি বেছে নিতে হলে কোনটি প্রাধান্য দেবেন? উত্তরে অনন্য বলেন, ইন্ডিয়া বহুবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঐশী মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে টপ ৩০-এ এসেছিলেন। আমি তথা বাংলাদেশ মিস ইন্টারন্যাশনালে প্রথম অংশ নিতে যাচ্ছে। আমি যদি সেখানে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি তাহলে বাংলাদেশকে সারাবিশ্ব চিনে যাবে। তাই আমি চ্যাম্পিয়নশিপ বা আগে ক্রাউন বিজয়ী হতে আগে চাইবো। তবে রাজনীতি ছাড়তে পারবো না। পদ পদবী না পেলেও আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগকে ভালোবেসে যাবো।
তিনি আরও বলেন, একজন ব্যবসায়ী বা চাকুরীজীবী যেমন রাজনীতি করতে পারেন তেমনি একজন মডেলও রাজনীতি করতে পারেন। কেউ কেন একটা জিনিসেই সীমাবদ্ধ থাকবে? রাজনীতি করলে তো টাকা ইনকাম করা যায় না, ক্যারিয়ার হিসেবে অন্যকিছু গড়ে সেখান থেকে রাজনীতি করা যেতে পারে। তাই আমি মডেলিং রাজনীতি দুটোই সমানতালে করে যেতে চাই। গত তিন বছর যাবত আমি তাই করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অনন্যা জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা তাকে গুড উইশ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারি দুজনেই আগে থেকে আমাকে সাপোর্ট করেন। তারা আমার প্রতি ওপেন মাইন্ডেড এবং শুভকামনা জানিয়েছেন। তারা চান, সকলকে যেন গর্বিত করতে পারি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর করছেন অনন্যা। এর আগে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশে’ ২০২১-এ তিনি প্রথম রানার্স আপ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি মডেলিং করছেন। অনন্যা জানান, দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার অনেক বেশি ইচ্ছা তার মধ্যে। এ কারণে তিনি এ ধরনের প্রতিযোগিতায় নিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার আমি চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত।
চ্যানেল আই অনলাইনকে অনন্যা বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বিশ্বমঞ্চে আমাকে অনন্যা নামে ডাকবে না, বাংলাদেশ বলে ডাকবে। এই অনুভূতি সারাজীবন মনে রাখবো। তাছাড়া আমি প্রথম সেখানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছি। আমি মনে করি এটাও একটা ইতিহাস। ইন্টারন্যাশনালি একাধিক গুণ থাকা প্রতিযোগীদের প্রাধান্য দেয়া হয়। আমি দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি তাও উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ নিয়ে পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়িত। আমি একজন সমাজকর্মী, একটি এনজিও-এর প্রেসিডেন্ট। এই গুণগুলো আমাকে আন্তর্জাতিকভাবে অনেক গুড ইমেজ তৈরি করতে সাহায্য করেছে। তাই বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চান্স আছে, সবার সাপোর্ট চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।