জুমবাংলা ডেস্ক : মেট্রোস্টেশনের চলন্ত সিঁড়ির হাতলের ওপর দুজন ছেলের খেলার একটি ভিডিও সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, শিশু দুজন হাতল ধরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওপরে উঠছে। আবার স্লিপ কেটে স্লাইড দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। কেউ বলছেন, নষ্ট হলে সরকারের দোষ, কারণ সরকার দেখভাল করে না। কেউ বলছেন, জরিমানা করার দরকার ছিল। আবার কেউ বলছেন, বাংলাদেশ বলে কথা।
ফেসবুকের মেট্রোরেল যাত্রীদের একটি কমিউনিটি গ্রুপে রমিত নীল নামের এক যাত্রী একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘নষ্ট হলে অবশ্যই সরকারের দোষ, কারণ সরকার দেখভাল করে না। কিন্তু এদেশের মানুষ কি সভ্য, সে বড় হোক আর ছোট হোক? মেট্রোর ভেতর চিপায় জুসের প্যাকেট ফেলতে দেখেছি, চিপসের প্যাকেট ফেলতে দেখেছি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো এই আধুনিকায়ন ডিজার্ভ করে না এবং এর জন্য প্রস্তুত নয়। যায় কারণে কিছুদিনেই এই মেগা প্রকল্পগুলোও কার্যকারিতা হারানোর শঙ্কা আছে।’
সেখানে তানভির আহমেদ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ বলে কথা।’ উত্তম সমুদ্র লিখেছেন, ‘জরিমানা করার দরকার ছিল। সাইফুল ইসলাম সাফিদ লিখেছেন, ‘চটকনা দিছিলেন? না দিলে আপনারে এখন গাইল দেওয়া দরকার।’ সৈয়দ হাবিব লিখেছেন, ‘আসলে ১৮/১৯ কোটি মানুষের মাঝে মনে আবর্জনা ভরা আছে ৫/৭ কোটি। এদের কাজই কথায় কাজে সব কিছু আবর্জনা করে ফেলা।’
ফাতেমাতুজ্জোহরা মুমু লিখেছেন, ‘এই বাচ্চাগুলো তো আর একা একা এখানে এসে উঠে পরার সাহস পায়নি। বাচ্চার গার্ডিয়ান গুলোর কি কোনো কমনসেন্স নেই? কোত্থেকে উঠে আসে এরা আল্লাহ ই জানে। এদের কাছ থেকে বাচ্চারা আর কিই বা শিখবে।’ জুয়েল আহমেদ লিখেছেন, ‘সিকিউরিটি কই?’
সাকির খান কর লিখেছেন, ‘দেখাশোনার লোক না থাকলে এরকম হবেই! আমরা ভালো না তাই তো দেখা শোনার লোক রাখা হয় কিন্তু এখানে নেই কেন? এতো হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করার পরেও এটা মেইন্টেইন করার লোক নেই!’
মমিনুল হক শিপন লিখেছেন, ‘বাপ-মা ছাড়াতো ওরা ঢুকেনাই, বাপ মায়েরে জরিমানা করা হলেই সোজা হয়ে যাবে সব।’ আল আমিন জেবিন লিখেছেন, ‘ওর ডেন্ডিখোরদের নুনুটা চিপায় আটকে গেলেই বেঁচে যায় এস্কেলেটর….।’
শামসুল আরেফিন লিখেছেন, ‘যিনি ভিডিওটা করলেন তার কি এখানে কিছুই বলার বা করার কোন কিছুই ছিল না? সব কিছু কি সরকারকে দেখতে হবে করতে হবে? তাহলে আপনি এদেশে আছেন কেন ভাই অন্য কোথাও চলে যান। ভিডিও করা বাদ দিয়ে যদি পিচ্ছি দুইটারে দুইটা থাপ্পড় বসায় দিতেন তাহলে ঠিক ছিল।’
শামিম আহসান লিখেছেন, ‘আজ থেকে ২৫ বছর আগে আগারগাঁও কলোনিতে বিশাল মাঠ ছিল। মেট্রোরেল স্টেশন থেকে শুরু করে আগারগাঁও সেকেন্ড গেট পর্যন্ত। সেই বিশাল মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার যে আনন্দ সেটা বর্তমান ঢাকায় আর কোন দিন পাওয়া যাবে না। একদিকে কলোনির বিশাল মাঠ, মাঝখানে রাস্তা ওপাশে পুরানা এয়ারপোর্টে বর্তমান প্যারেড গ্রাউন্ড এই বিশাল ফাঁকা এরিয়া দেখার যে আনন্দ, চোখের শান্তি সেটা কোন দিন ফিরে আসবে না। প্যারেড গ্রাউন্ড আগেও প্যারেড হত আমরা কলোনি মাঠ থেকে প্যারাট্রুপার দেখতে পেতাম ১৬ ডিসেম্বর।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাচ্চাদের খেলার কোন জায়গা নেই। এক্সকেলেটরে সেই মজা নাই যে মজা আগারগাও কলোনি মাঠে ছিল। এই চনন্ত সিঁড়ি ইস্টার্ন প্লাজা শপিং মল ৯০ এর দশকে এনেছিল। তখন সেখানে শপিং এ গেলে আমরা একবার উঠতাম একবার নামতাম বার বার উঠতাম। আম্মা বলত তোরে আর এখানে আনবো না। যাই হোক, মেট্রোরেলের চলন্ত সিঁড়ি রাষ্ট্রীয় সম্পদ তাই বাচ্চার না বুঝে যাতে এইটার ক্ষতি না করে নিজেরাও ব্যথ্যা না পায় এইজন্য নিরাপত্তা কর্মীদের ইশারা দিবেন যাতে ওদের নামিয়ে দেওয়া হয়। ইস্টার্ন প্লাজার চলন্ত সিঁড়ি হয়ত ১০০০ টাকায় ঠিক করা যেত। কিন্তু এই মেট্রোর চলন্ত সিঁড়ি ঠিক করতে ৫০ লাখ লাগবে। কারণ এখন সবকিছুর দাম বেশি আর মানুষ এখন চরম রকমের অসৎ। ঠিক করতে লাগবে ২০ লাখ বিল তৈরি করবে ৫০ লাখ টাকার।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।