বিনোদন ডেস্ক : অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে ২০১২ সালে হিরা ব্যবসায়ী ভরত তখতানিকে বিয়ে করেছিলেন হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্রর মেয়ে এষা দেওল। বলিউডে তার ক্যারিয়ার ছিল ক্ষণস্থায়ী। বাবা-মায়ের সাফল্যের ছিটেফোঁটাও ভাগ্য়ে জোটেনি তার। শুরুতে ‘ধুম মাচিয়েছিলেন’ ঠিকই, তারপর আর সাফল্য়ের মুখ দেখেননি।
ফলে বিয়ে করে ঘোর সংসারি হয়ে যান এষা। সেভাবে রুপালি জগতে আর দেখা যায়নি। তারপরও টিকলো না সংসার। গত কয়েক মাস ধরেই এষা-ভরতের ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই জল্পনায় সিলমোহর দেন তারা। যৌথ বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন বিচ্ছেদের কথা।
ডিভোর্সের খবর প্রকাশের পরেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এষা-ভরতের একাধিক পুরনো সাক্ষাৎকার। ভরতের চোখে তার হিরোইন বউ ছিল ‘ঘরোয়া’। ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এষার স্বামী একবার জানিয়েছিলেন, বউয়ের মুটিয়ে যাওয়ায় আপত্তি রয়েছে তার। সেই কারণে এষার সঙ্গে তিনিও ভর্তি হন যোগ-ব্যায়ামের ক্লাসে।
বিয়ের পর একবার নিজের সঙ্গে মায়ের পর্দার এক চরিত্রের তুলনা করেছিলেন এষা। ‘সত্তে পে সত্তা’ সিনেমার হেমার মতোই পরিস্থিতি ছিল এষার। বাড়ির বউ এষা, ভরতের ছয় তুতো ভাই রয়েছে। আদর্শ বউমা হওয়ার জন্য সারাক্ষণ মেয়েকে টিপস দিতেন হেমা।
এষা জানিয়েছিলেন, মা তাকে সকালে চটজলদি ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিতেন। বলতেন, ‘স্বামীর আগে ঘুম থেকে উঠবি। সব কাজে শাশুড়িমাকে সাহায্য করবি আর অবশ্য নাচের অনুশীলন বন্ধ করবি না।’
ভরত একটা সময় মুগ্ধ ছিলেন এষার মানিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার দক্ষতায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘ও খুব ঘরোয়া মেয়ে। এষা আমার মায়ের যত্ন নেয়, ওনার খেয়াল রাখেন। সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশে গেছে। ও খুব যত্নশীল এবং দায়িত্ববান। আমার পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখে।’
কিন্তু নিজের পাতলা ফিগার ধরে রাখতে পারেননি এষা দেওল। সংসার সামলাতে গিয়ে শরীরচর্চায় সময় দিতে না পেরে মুটিয়ে যান তিনি। তাতেই কি নাখোশ নায়িকার স্বামী ভরত? সে কারণেই কি তিনি এষাকে দূরে ঠেলে দিলেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে জোরেশোরে।
কারণ, এষার স্বামী নাকি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক আগেই। নতুন প্রেমিকার সঙ্গে নাকি বেঙ্গালুরুতে একত্রবাসও করছেন। কয়েক মাস ধরে এষার সঙ্গে থাকেন না ভরত। তাই বাধ্য হয়েই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এষা। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই নাকি তার এমন সিদ্ধান্ত।
লাল গোলাপের অর্থ ভালোবাসা, অন্য গোলাপের অর্থ কী অনেকেই জানেন না
দিল্লি টাইমসকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে এষা ও ভরত জানিয়েছেন, ‘আমরা পারস্পরিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।’
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News , Twitter(X) , Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel