লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করেছে সহজ। বহুতল ভবনে সিঁড়ি ভেঙে ওঠার চল বহু আগেই বিদায় নিয়েছে। এখন ৫ তলার বেশি যেকোনো ভবনে লিফট থাকাটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আর অন্যসব প্রযুক্তি ও আধুনিক সুবিধার মতো এই লিফট ব্যবহারেরও কিছু নিয়মকানুন আর আদব-কায়দা আছে। এই আদব-কায়দা আপনার জানা থাকলে অন্যের বিরক্তি-ভোগান্তির কারণ হবেন না।
লিফট ব্যবহারের কিছু কাঙ্ক্ষিত আদব-কায়দা জেনে নেওয়া যাক:
এই আদব-কায়দা শেখার আগে সবচেয়ে প্রথমে যা লাগবে সেটা হলো সাধারণ বিবেকবোধ। এছাড়া অফিস, শপিংমল, হাসপাতালের লিফট ব্যবহারে অবশ্যই লাগবে সিভিক সেন্স বা নাগরিকবোধ। এই বোধগুলো আপনি অনুশীলন করবেন যেভাবে-
শৃঙ্খলা বজায় রাখুন
লিফটের সামনে ভিড় না করে দরজার সম্মুখভাগে জায়গা রেখে একটি লাইনে দাঁড়ান। একাধিক লিফট থাকলে একটি নির্দিষ্ট লিফটের জন্য না দাঁড়িয়ে বিকল্প লিফট ব্যবহার করুন।
লিফটের দরজা জুড়ে দাঁড়াবেন না
নামার সময় বিশেষ করে যারা একেবারে নিচতলায় নামছেন তারা লিফটের দরজা খোলার পর অযথা দরজা আটকে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। আবার যিনি উঠতে চাইছেন তিনিও লিফটের দরজা আটকে দিয়ে দাঁড়াবেন না। আগে নামতে দিন, এরপর উঠুন।
অন্যের পথ আটকাবেন না
ওঠার সময় নিজের পছন্দমতো তলার বাটন চাপতে গিয়ে আরেকজনের লিফটে প্রবেশের পথ রুদ্ধ করবেন না। এছাড়া অনেকে আগে উঠে লিফটের দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে যান। এটা না করে লিফটের দুই পাশে ঘেষে দাঁড়ান অথবা পেছন দিকে চলে যান। সব সময় লিফটে প্রবেশের জায়গাটা উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
সৌজন্যবোধের পরিচয় দিন
লিফটে ওঠা-নামার সময় বয়স্ক মানুষ, অন্তঃসত্ত্বা, শিশুদের অসুবিধা যেন না হয় তা নিশ্চিত করে সৌজন্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ভিড়ে ঠাসা লিফটে ধারণ ক্ষমতা অতিক্রমের সংকেত পেলে যিনি সবার শেষে উঠেছেন তিনি নিজে থেকেই নেমে যাবেন, অন্যদের চেপে দাঁড়ানোর অনুরোধ করবেন না।
লিফটের ভেতরে যে আচরণ কাম্য
লিফটম্যান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না থাকলে দরজার কাছে দাঁড়ানো কাউকে আপনি যে তলায় নামবেন সেটির বাটন চাপতে অনুরোধ করুন। লিফটে উঠে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে ফোনে কথা বলার চেষ্টা না করাই ভাল, কারণ লিফটের ভেতরে নেটওয়ার্ক থাকে না। ফোনে অডিও-ভিডিও চালাবেন না। একে অন্যের থেকে স্বাভাবিক দূরত্ব বজায় রাখুন, অন্যের অস্বস্তির কারণ হবেন না। কেউ দুই তলা-তিন তলায় যাবেন বলে বাটন চাপলে ‘এতটুকু উঠতে লিফট লাগে’ এমন অযাচিত মন্তব্য না করাই ভদ্রতা। ভেতরে ময়লা ফেলবেন না, অস্বস্তিকর গন্ধযুক্ত কিছু বহন করলে অবশ্যই তা ভাল করে ঢেকে, আটকে রাখুন।
শপিংমলে লিফটের কায়দাকানুন
শপিংমলে সাধারণত লিফটের বিকল্প চলন্ত সিঁড়িও থাকে। শারীরিকভাবে সক্ষম হলে গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে ১, ২ তলায় যেতে চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করাই ভাল। এতে যারা আরও উপরের ফ্লোরগুলোতে যাবেন তারা লিফটের সুবিধা পেতে পারেন। পুরোপরিবার অথবা বন্ধুবান্ধবরা কয়েকজন শপিংমলে গেলে লিফটে ওঠা-নামার সময় অন্যের বিরক্তি-অসুবিধার কারণ যেন না হন সেদিকে খেয়াল রাখুন।
হাসপাতালের লিফটে দায়িত্বশীল আচরণ
ভিজিটর হিসেবে হাসপাতালে গেলে লিফট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অসুস্থ ব্যক্তি এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে সুযোগ দিন। জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বজনেরা জরুরি ওষুধ বা খাবার নিয়ে লিফটে উঠছেন, এমনটা বুঝলে তাদেরও আগে যেতে দেওয়া উচিত। কেউ রক্তদাতা হিসেবে নিজের পরিচয় দিলে তাকেও জায়গা ছেড়ে দিন। রোগী অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য আলাদা লিফট থাকলে সেটাতে ওঠার জন্য জবরদস্তি করবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।