বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: অবশেষে একক ও অভিন্ন মোবাইল চার্জিং পোর্ট চালুর বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ফলে মোবাইল ফোন চার্জ করা নিয়ে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না ইইউভুক্ত দেশগুলোর বাসিন্দাদের। কেবলমাত্র একটি ‘টাইপ সি’ ইউএসবি চার্জার থাকলেই এখন থেকে সব ধরনের মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ করতে পারবেন ইইউর বাসিন্দারা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০২৪ সাল নাগাদ গোটা ইইউভুক্ত সব দেশে এ ব্যবস্থা চালু হবে। আর প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোটের এমন সিদ্ধান্তে ইউরোপে আইফোনের বাজার ধরে রাখা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) ইইউজুড়ে একক চার্জিং পোর্ট চালুর বিষয়ে সম্মতি জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি নাগাদ জোটভুক্ত ২৭টি দেশে কেবল টাইপ সি ইউএসবি চার্জার দিয়েই সব ধরনের মোবাইল চার্জিং ব্যবস্থা চালু হবে।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য অ্যালেক্স সালিবা বলেন, ইউরোপজুড়ে একক চার্জিং ব্যবস্থা আজ বাস্তবে রূপ নেয়ার পথে। আমাদের এখানকার ব্যবহারকারীরা একাধিক চার্জিং পোর্টের জন্য আলাদা আলাদা ক্যাবল ব্যবহার করে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। একক চার্জিং ব্যবস্থা চালুর ফলে তাদের এই ভোগান্তি এখন অনেকটাই লাঘব হবে। শুধু তাই নয়, নতুন এই ব্যবস্থা প্রায় এক হাজার টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমাতে সহায়তা করবে।
তবে ইইউর এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়তে পারে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজস্ব চার্জিং পোর্ট সিস্টেমের পরিবর্তন না করলে ২০২৪ সাল নাগাদ আইফোন ছেড়ে অন্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকবেন ব্যবহারকারীরা। এতে ইউরোপের বাজার হারাতে পারে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে ইইউর এমন সিদ্ধান্ত প্রতিযোগিতার বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে জানিয়েছিল অ্যাপেল। যদিও মঙ্গলবারের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার ৪০ মাসের মধ্যে ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও আইনটি প্রযোজ্য হবে। এ ছাড়া, ভবিষ্যতে ইইউ কার্যনির্বাহীর হাতে ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবস্থা সমন্বয়ের ক্ষমতা থাকার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
চার্জিং পোর্ট নিয়ে ইইউ’র নতুন এই চুক্তিতে ই-রিডার, ইয়ারবাডস এবং প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে অর্থাৎ এটি স্যামসাং, হুয়াওয়ে এবং অন্যান্য ডিভাইস নির্মাতাদের উপরও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
“আমরা গর্বিত যে ল্যাপটপ, ই-রিডার, ইয়ারবাডস, কিবোর্ড, কম্পিউটার মাউস এবং পোর্টেবল ন্যাভিগেশন ডিভাইস এর মধ্যে রয়েছে,” –বলেছেন আইন প্রণেতা অ্যালেক্স অ্যাগিয়াস সালিবা, যিনি ‘ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে’ বিতর্কটি পরিচালনা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।