আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের সশস্ত্র মুক্তিকামী দল হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত নিয়ে ইউটিউবে শেয়ার করা অবৈধ কনটেন্ট ও ভুল তথ্য নিয়ে গুগল প্রধান সুন্দার পিচাইকে চিঠি পাঠিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন।
ওই চিঠিতে ইইউ’র ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)’র আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় গুগলকে।
“ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর আমরা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অবৈধ কনটেন্ট ও ভুল তথ্যের প্রবণতা বাড়তে দেখেছি।” –লেখেন ব্রেটন।
তিনি আরও যোগ করেন, ইউরোপে শিশু ও তরুণদের সহিংস কনটেন্ট দেখা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইউটিউবের। এ ছাড়া, ইইউ কোনো বিজ্ঞপ্তি পাঠালে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার ও বিভ্রান্তিকর ঝুঁকি মোকাবেলায় কোম্পানিকে ‘কার্যকর ব্যবস্থা’ নিতে হবে, এমন শর্তও উল্লেখ রয়েছে এতে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে দেওয়া বিবৃতিতে ইউটিউবের মুখপাত্র আইভি চই বলেন, “হামাসের আক্রমণ এবং ইসরায়েল ও গাজায় চলমান সংঘাত বিষয়ক হাজার হাজার ক্ষতিকারক ভিডিও’র পাশাপাশি কয়েকশ চ্যানেল বন্ধ করেছি আমরা।”
“একই সময় ব্যবহারকারীদের ভালমানের খবর ও তথ্য পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের সিস্টেম। এমন ফুটেজ নিয়ে আমাদের দলগুলো দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আর ক্ষতিকারক কিছু পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কনটেন্ট থেকে শুরু করে শর্টস ও লাইভস্ট্রিমও।”
ওই চিঠিতে নির্বাচন বিষয়ক ভুল তথ্যকে ‘দ্বিতীয় শঙ্কার জায়গা’ বলে উল্লেখ করেন ব্রেটন।
“পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লিথুয়ানিয়া, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, অস্ট্রিয়া ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তৈরি বিভিন্ন ডিপফেইক ভিডিও’র বিপরীতে আপনারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন, আমাদের দলকে তার বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।”
ব্রেটন বলেন, ইউটিউব যেন ইইউ’কে সক্রিয়ভাবে প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। তিনি আরও যোগ করেন, ডিএসএ’র আইন মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তার দল বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের অনুরোধ পাঠাতে থাকবে।
ইউটিউব সিইও নিল মোহানকেও ওই চিঠির অনুলিপি পাঠিয়েছেন ব্রেটন। এর আগে একই ধরনের চিঠি পেয়েছেন মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ, এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক ও টিকটক সিইও শউ জি চিউ।
শুক্রবার এক দীর্ঘ ব্লগ পোস্টে এমন সহিংস কনটেন্ট ঠেকানো নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম প্রকাশ করেছে মেটা। এর মধ্যে রয়েছে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করা, হিব্রু ও আরবি ভাষাভাষী বিশেষজ্ঞের সহায়তায় বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া।
ব্রেটনের চিঠির জবাবে এক্স-এর বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন কোম্পানির সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো। এর পরও এক্স-এর যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট সামলানোর ব্যবস্থা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত চালাচ্ছে ইইউ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।