জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর গ্রামে কোর্টের দেয়া ১৪৪ এবং ১৪৫ ধারা অমান্য করে অবৈধ নির্মাণকাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করলেও রাতের আঁধারে ফের নির্মাণ কাজ শুরু করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূমি দখলের অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শরোফা বেগম এবং তার স্বামী আব্দুল কাহার, ছেলে ছালাউদ্দিন ও আলাউদ্দিনসহ তাদের আত্মীয়স্বজনরা কোর্টের স্থিতাবস্থা অমান্য করে পৌর এলাকার রাধানগর সাহাপাড়ায় দেবগ্রাম মৌজার ১০০১ বিএস দাগের ৪.৬৪ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখল করছেন।
এ জায়গার প্রকৃত মালিক ইতালি প্রবাসী শেখ আনিস, যিনি মৃত শেখ এলু মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র। তার স্ত্রী স্থানীয়ভাবে বসবাস করলেও জায়গাটি দখলে নিতে ভূমিদস্যু চক্রটি নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। জানা যায়, শেখ আনিসের বড় ভাই শেখ বশির এবং শেখ জোবায়ের মানিকের সাথে গোপন চুক্তি করে এই চক্র জায়গাটি কম দামে ক্রয় করে, যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে মিউটেশন করা হয়।
কোর্টের আদেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাওয়া এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টে একটি দেওয়ানি মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও শরোফা বেগম ও তার সহযোগীরা জায়গাটি দখলে নিয়ে বেআইনিভাবে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কোর্টের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহীর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সজিব মিয়ার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদের পরও রাতের আঁধারে কাজ উচ্ছেদ অভিযানের পর, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দুই পক্ষের দলিলাদি পর্যালোচনা করে শরোফা মেম্বারকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, নির্দেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে নির্মাণকাজ চালিয়ে যায় চক্রটি।
প্রতিক্রিয়া কোর্টের আদেশ অমান্যকারী শরোফা মেম্বার দাবি করেছেন, জায়গাটি তার পারিবারিক সমস্যা এবং তিনি শেখ আনিসের বড় ভাই থেকে এটি ক্রয় করেছেন। তবে কোর্টের আদেশ অমান্যের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে শেখ আনিসের স্ত্রী আফরিন জান্নাত বলেন, “আমরা আইনের প্রতি আস্থাশীল। কিন্তু যেখানে ভূমি দস্যুরা আইনের তোয়াক্কা করে না, সেখানে আমরা কতটুকু নিরাপদ? আমি এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
প্রশাসনের বক্তব্য ম্যাজিস্ট্রেট মো. সজিব মিয়া জানান, “আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। কোর্টের নির্দেশ কেউ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহীর অসুস্থতার কারণে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দাবি ও প্রত্যাশা স্থানীয় জনগণ দ্রুত এই ভূমি দস্যুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে এবং প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।