আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুধু এই ধরনের আর্জিই নয়, খাতার ভিতর থেকে ১০০, ২০০ এমনকি ৫০০ টাকার নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশে বোর্ডের পরীক্ষায় এক ছাত্রীর খাতা দেখে স্তম্ভিত শিক্ষকরা। রাজ্যে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা চলছে। উত্তর লেখা তো দূরঅস্ত, উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের নানা রকম ‘আবদার’ দেখে ভিরমি খাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে পরীক্ষকদের।
এক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, ‘গুরুজি, আমার তিন তিন বার বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে। অনেক কষ্ট করে আমার পরিবার একটা সম্বন্ধ ঠিক করেছে। কিন্তু পাত্র শর্ত রেখেছে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই আমাকে বিয়ে করবে। আমার বিয়ে নিয়ে মা-বাবা খুব দুশ্চিন্তায় আছেন। দয়া করে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিন। যাতে বিয়েটা হয়ে যায়!’ পরীক্ষার খাতায় ছাত্রীর এমন আবেদনে স্তম্ভিত হয়ে যান পরীক্ষকরা।
আরও এক পরীক্ষার্থী আবার লিখেছেন, অনেক সম্বন্ধ দেখার পর অবশেষে বিয়ে হয়েছে তাঁর। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চান তিনি আরও পড়াশোনা করুন। কিন্তু পড়াশোনার বিষয় তাঁর খুব একটা মনে থাকে না। তাই পরীক্ষকের কাছে অনুরোধ, ‘এ বার পাশ করিয়ে দিন, যাতে শ্বশুরবাড়িতে আমার সম্মান থাকে।’
শুধু এই ধরনের আর্জিই নয়, খাতার ভিতর থেকে ১০০, ২০০ এমনকি ৫০০ টাকার নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। কেউ সেলোটেপ দিয়ে, কেউ সুতো দিয়ে সেই টাকা খাতার ভিতরে বেঁধে দিয়েছেন, যাতে উত্তরপত্র খুলতেই পরীক্ষকের নজরে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।