জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের বটতলীতে জাহেদা বেগম নামে এক অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী নারীর জমিতে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতা নেতা মো. হুমায়ুনের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী জাহেদার ভাতিজা হেফজুর রহমান এ অভিযোগ করেন।
চলমান পরিস্থিতিতে তিনি থানায় পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো অভিযোগ দিতে পারেননি। এনিয়ে তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত হুমায়ুন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সদস্য। সরকার পতনের পর প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ৭ আগস্ট জেলা যুবদল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরদিন হুমায়ুন অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী জাহেদার দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বটতলি গ্রামের ১২ শতাংশ জমির সামনের অংশে জোরপূর্বক দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেন।
হেফজুর রহমান জানায়, তার ফুফু জাহেদা দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বটতলি গ্রামে ১৯৮৭ সালে তার ফুফু ১২ শতাংশ জমি কেনেন। তখন সেখানে ডোবা ছিল। ২০১৪ সালে ডোবা ভরাট করে বৃক্ষ রোপণ করা হয়। ১৯৮৭ সাল থেকেই জমিটি জাহেদার দখলে। এর পাশেই মজিবুর রহমান ও মাহবুবুর রহমানদের (মাহবুবের ভাই আবদুল কাদেরসহ) জমি রয়েছে। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধও রয়েছে। এ নিয়ে ২০২২ সালে থানায় উভয়পক্ষ লিখিত অভিযোগ করে। থানা থেকে পরবর্তীতে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীকে বিষয়টি মীমাংসা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কাশেম জিহাদী প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে মজিবুর রহমান জমিটি মাহবুবদের নামে করে দেওয়ার পাঁয়তারা করে। কাশেম জিহাদির সালিশি রায়ের জাহেদাকে তৃতীয় পক্ষ দেখানো হয়। একই সঙ্গে হেফজুর রহমানকে জাহেদার প্রতিনিধি করে স্ট্যাম্প লেখানো হয়। কিন্তু হেফজুর রহমান জাহেদার প্রতিনিধি ছিলেন না। এতে তিনি সেখানে স্বাক্ষরও করেননি।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের শরণাপন্ন হন হেফজুর। পরে ২০২৩ সালের ২৬ জুলাই পুলিশের পরামর্শে জাহেদার পক্ষে হেফজুর বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের দেওয়া ৩টি তারিখে উপস্থিত ছিলেন না অভিযুক্ত মাহবুবুর রহমান ও আবদুল কাদের। মামলার পরপরই তারা লন্ডন চলে যায়। এতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
হেফজুর রহমান বলেন, সরকার পতনের পরে গত ৮ আগস্ট মাহবুব ও কাদেরের ভাড়াটে লোক হিসেবে পরিচিত যুবদল নেতা হুমায়ুন লোকজন নিয়ে এসে আমার ফুফুর জমিতে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করেন। বিষয়টি আমি থানায় গিয়ে পুলিশকে জানাই। কিন্তু পুলিশ জায়গা-জমির বিরোধে জড়াবে না বলে জানিয়েছে। থানা থেকে বলেছে আদালতে মামলা করতে।
বক্তব্য জানতে যুবদল নেতা মো. হুমায়ুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।