জুমবাংলা ডেস্ক : মায়ের শখ ছিল ছোট ছেলে বিয়ে করতে যাবে হেলিকপ্টারে চড়ে। মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়েই বিয়ে করতে যান মহসিন তালুকদার নামে এক প্রবাসী। নববধূকে নিয়েও আসেন শ্বশুরবাড়ি থেকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে।
বুধবার বিকেলে বর যখন নববধূকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আসেন, তখন আশপাশে লোকজনের ভিড় লেগে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার তালুকদার কান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক তালুকদার ও জবেদা বেগম দম্পতির ছেলে মহসিন তালুকদার। মহসিন ৯ বছর ধরে মালেশিয়া থাকেন। সম্প্রতি তিনি বিয়ের করার জন্য দেশে আসেন।
মহসিন তালুকদারের সঙ্গে একই উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের চরলক্ষীকান্তপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের মেয়ে পলি আক্তারের বিয়ে হয়। বুধবার দুপুরে কনে পলি আক্তারের বাড়িতে এই দম্পতির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হয়। পরে শ্বশুর বাড়ি থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বর মহসিন তালুকদার রওনা দেন নিজ বাড়িতে।
বিকেল ৫ টার দিকে বিয়ের সব আয়োজন শেষ করে কনে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়ি ফিরে আসেন মহসিন। এসময় স্বজনেরা বর-কনেকে বরণ করে নেন। হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর-কনে দেখতে স্থানীয় গ্রামের লোকজন তাদের বাড়ির সামনের খোলা মাঠে ভিড় করেন।
শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। হেলিকপ্টারে চড়ে আসা নববধূ ও বরকে দেখতে কৌতূহলী লোকজন ভিড় করেন। সুশৃঙ্খল পরিবেশে বর হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিয়ে আসলে পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দেন।
মহসিনের মা জবেদা বেগম বলেন, ‘আমার চার ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলের বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে, আর নববধূকে বরণ করে আনতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করা হয়। ছেলে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে নিয়ে আসায় আমি খুবই খুশি।’
মহসিন তালুকদার বলেন, ‘মায়ের শখ ছিল আমি হেলিকপ্টারে করে বউ আনি। তাই মায়ের শখ পূরণ করেছি। শখ পূরণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
কনে পলি আক্তার বলেন, ‘আমি আগে কখনও হেলিকপ্টারে উঠিনি। এই প্রথম উঠলাম। অনুভূতিটা খুবই ভালো ছিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।