জুমবাংলা ডেস্ক : বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে আসেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মমিনপুর মুকমদশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউলের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. আলম আনসারী। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি দেশে নামেন। এবার তার বাড়ির ফেরার গল্পটি সিনেমার মতোই। হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় হেলিকপ্টার ও তাকে দেখার জন্য। গ্রামের চারপাশে ফসলি মাঠ।
সবুজ সমারোহের মাঝখানে তৈরি হেলিপ্যাড। বর্ণিল সাজে সজ্জিত পুরো এলাকা। দল বেঁধে ফসলি জমির আইল দিয়ে, সড়ক দিয়ে নারী পুরুষ আসছেন হেলিপ্যাডের পাশে। এমন দৃশ্য হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের মমিনপুর মুকমন্দশা গ্রামে। মুকমন্দশা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আলম আনসারী আসবেন হেলিকপ্টারে চরে তার বাড়ি। সাজ সাজ রব চারদিকে। মমিনপুর মুকমন্দশা আকাশে ভেসে বেড়ায় হেলিকপ্টারের শব্দ। উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশুরা তাকিয়ে আকাশের দিকে।
সে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসলেন তার বাবা, মেয়ে মাহিরা বিনতে আলম এবং ছোট ছেলে মো. মিরাজ এবং মো. আলম আনসারী। হৈ চৈ পড়ে গেল পুরো এলাকায়। স্থানীয়রা জানালেন, বাবা মার ইচ্ছে পূরণের জন্য তিনি তা করেন, পাশাপাশি এলাকায় মসজিদ মাদরাসাসহ অসহায় মানুষদেরও সহায়তা করেন।
প্রবাসী মো. আলম আনসারীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. রহিম বকাউল এবং মা তফুরা বেগম জানান, আমাদের খুব ইচ্ছে ছিল আমার ছেলে আলম আনসারী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসবে। শনিবার আমাদের মনের আশা পূর্ণ হয়েছে। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন, আমাদের ছেলে যেন মানুষের সেবায় সব সময় নিয়োজিত থাকতে পারে।
প্রবাসী মো. আলম আনসারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী। আমার বাবা এবং মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য এবং গ্রামের মানুষ ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতে আমি ব্যতিক্রভাবে বাড়ি ফিরি। নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি আমি আমার সাধ্য মোতাবেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও এলাকার মানুষের পাশে থাকি। সার্বিক সহযোগিতা করি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।