জুমবাংলা ডেস্ক : উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মাঠের পর মাঠ তরমুজ খেত। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। তরমুজ তুলে জড়ো করছেন কৃষক। রমজানে বেশি দাম পাওয়ার আশায় বিক্রির জন্য রাখছেন স্তূপ করে। ৮০ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন দশমিনার কৃষকরা।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহাজনরা তরমুজ কিনতে ফসলের খেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দামদর করে কিনে নিচ্ছেন তরমুজ। এই তরমুজ ট্রাক আর বড় বড় ট্রলার আর লঞ্চে চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
তরমুজ সবচেয়ে বেশি লাভজনক ফল হওয়ায় রসালো এ ফলটি চাষে এবার কৃষকের পাশাপাশি মাঠে নেমে পড়েছেন দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মিজান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসির পালোয়ানসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা।
অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন তারা। দ্বীপ ইউনিয়ন চরবোরহান ও চরহাদিতে সবচেয়ে বেশি তরমুজের চাষ হয়েছে।
উপজেলার এ বছর রেকর্ড পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। চাষিদের আশা এ বছর অন্তত ৮০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন তারা।
তবে চাষিরা তরমুজ বিক্রিতে ঢাকামুখী হওয়ায় স্থানীয়দের বেশি দাম দিয়ে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। পবিত্র এ মাসে ফলটির বেশি চাহিদা হলেও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে এ ফলটি। বাজারে মোটামুটি একটু বড় সাইজের তরমুজ প্রায় চারশ থেকে পাঁচশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক মো. কাওসার হোসেন বলেন, অন্যান্য ফসলের মধ্যে তরমুজ চাষ বেশি লাভজনক। তাই তারা এ কাজে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি জানান, ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। তবে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হন মহাজনেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, উপযুক্ত মাটি, উপযোগী আবহাওয়া ও লাভজনক হওয়ায় এ বছর তিনগুণ বেশি তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। বেশি চাষ হওয়ায় মানুষের কর্মস্থান হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস তরমুজ খেত তদারকি ও কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।