ইফফাত আরা : লাগামহীন মূল্যস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আগের চেয়ে কমেছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। এখন খাবার কিনতে ১৪ ভাগের বেশি ব্যয় হলেও আয় বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা। তিনি জানান, এখন থেকে প্রকৃত মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হবে।
গত দুই বছর ধরে অর্থনীতির বড় সংকটগুলোর একটি ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি। বিশেষ করে খাদ্যপণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন সাধারণ মানুষ। গত জুলাই মাসে দেশে খাদ্যপণ্যের দাম ছিল সবচেয়ে বেশি।নিত্যপণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, সেই হারে বাড়ছে না আয়। ব্যয় মেটাতে কেউ সঞ্চয়, কেউ ব্যাংকের স্থায়ী আমানত ভেঙেছেন। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজির মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এর মধ্যে গ্রামের চেয়ে শহরে খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ছিল।
রাজধানীর একজন বাসিন্দা বলেন, ‘গতকালকেও পেঁয়াজ দেখলাম ১২০ টাকা, ডিম ১৫০ টাকা ডজন। কোনো কিছুর দাম কমেনি। যা শোনা যাচ্ছে সবই গুজব। দাম কেন বেড়েছে? মানুষ আজ কেন এই জায়গায় আসল? অনেকগুলো ফ্যাক্টর আছে।’
সরকার পতনের পর এবার প্রথম মূল্যস্ফীতির তথ্য দিল পরিসংখ্যান ব্যুরো। এতে উঠে এসেছে জুলাইতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত চিত্রটা দেখুক মানুষ। আমরা এটাকে কন্ট্রোল করার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের টপ প্রয়োরেটি থাকবে।’ এর আগে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে খাদ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিলো ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।