লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনি বাড়িতে এমন অনেক ওষুধ দেখবেন যেগুলোর এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এগুলি আপনি আর ব্যবহার করতে পারবেন না। অনেকে এই ধরনের ওষুধগুলি ফেলে দেন আবার কেউ কেউ বলেন এগুলি এখন বিষে পরিণত হয়েছে যা খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
কেউ কেউ মনে করেন যে ওষুধে গায়ে লেখা থাকা মেয়াদের তারিখটা সম্পূর্ণ একটা বিভ্রম, এমনকি দু-তিন বছরের পুরনো ওষুধ খেলেও কোন কিছু ভুল নেই বলে মনে করেন। কিন্তু আসল সত্যিটা কি জানেন?
আসলে এক্সপায়ারি ডেট বলতে কি বোঝানো হয়? প্রথমত, ওষুধের মেয়াদ শেষ হওয়ার অর্থ কী, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ওষুধই কিনুন না কেন বা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোন প্রোডাক্ট এ আপনি স্পষ্ট দেখতে পাবেন যে তাতে দুটি তারিখ উল্লেখিত রয়েছে।
প্রথমত একটি তারিখ থেকে ওই ওষুধটি কবে তৈরি করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় তার একটি হল তার মেয়াদ কবে শেষ হচ্ছে। আসলে এই তারিখের পর ওই ওষুধ কোম্পানি তার কার্যকারিতা নিয়ে আর গ্যারান্টি দেবে না।
প্রতিটি ওষুধেই বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এগুলি সময়ে সময়ে তাদের প্রভাব পরিবর্তিত হয়। ওষুধের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটে। অনেক সময় বাতাস, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা ইত্যাদির কারণে ওষুধের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।
এর ফলে এই ধরনের ওষুধ খেলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই এসব ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যে কোনরকম আইনি জটিলতা এড়ানোর জন্যই একটা নির্দিষ্ট এক্সপায়ারি ডেট লিখে রাখে।
তবে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও কি ওই ওষুধ খাওয়া যাবে? এ বিষয়ে তেমন কোন তথ্য না পাওয়া যায়নি। তবে সিরাপ, চোখ ও কানের ড্রপ, ইনজেকশন ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ এক্সপায়ারি ডেট হওয়ার পর ব্যবহার করা উচিত নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।