জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সালদা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদিক (৪৫), উপ-পরিদর্শক তন্ময় চক্রবর্তীসহ আরও আটজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম মো. হাফিজুর রহমান মুন্নু (৬৫)। মামলায় বাকি ৬ পুলিশ সদস্যকে থানায় কর্মরত অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, শেখ সাদিক চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার বারাদি গ্রামের শেখ আমিনউদ্দীনের ছেলে। তিনি ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সালথা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া, এসআই তন্ময় চক্রবর্তী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভররামদিয়া গ্রামের তাপস চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি বর্তমানে জেলার বোয়ালমারী থানায় কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চাকরি থেকে অবসরের পর গ্রামে ফিরে হাফিজুর রহমান বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাকে ওসি শেখ সাদিক ও এসআই তন্ময় বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে বলতো যে- আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অনেক টাকা উপার্জন করে গ্রামে এসে রাজনীতি করছেন। আমাদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিবেন, নাহলে শান্তিতে থাকতে পারবেন না। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের ১১ মার্চ রাতে তাকে আটক করে আসামিরা তার নিকট ২০ লাখ চাঁদা দাবি করে। নাহলে থানায় নিয়ে নির্যাতন ও হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে নানাভাবে তাৎক্ষণিক ৫ লাখ টাকা তাদের দিন তিনি। এরপরও থানায় রাতভর নির্যাতন করে পরদিন একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
হাফিজুর রহমান জানান, তাকে মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানোর পর এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্রসফায়ারের হুমকিও দেয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিনে বের হন তিনি। সেইসময় ভীত হওয়ায় আদালতে মামলা করতে পারিনি। এখন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসায় মামলা দায়ের করেছি।
মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন অর রশীদ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করে সাবেক ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, সালথা থানার নাশকতা মামলায় ওই ব্যক্তি আসামি ছিলেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এজন্য হয়তো তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার অপর অভিযুক্ত এসআই তন্ময় চক্রবর্তীও এই মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।