সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : কোরবানীর পশুবাহী ট্রাক ও নৌকায় সব ধরনের হয়রানী বন্ধে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও যমুনা নদী থেকে কোরবানী পশুবাহী নৌকা থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে যমুনা তীরবর্তী আলোকদিয়া চরের একটি নৌ-দস্যু চক্র।
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের দুর্গম চরাঞ্চচল থেকে প্রতিদিন শত শত গবাদী পশু রাজধানী যাচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানিকগঞ্জের তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়া চরের মৃত হারেজের পুত্র দাগী নৌ-দস্যু ছানোয়ারের নেতৃত্বে প্রতি নৌকা থেকে গরু প্রতি ২শ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালি এলাকার গরু ব্যাপারী মো: মানিক মিয়া, আমিনুল মাঝি ও হাশেম আলীসহ ভুক্তভোগীরা জানান, ছোট-বড় দু’টি দ্রুত গতির নৌকা দিয়ে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজরা প্রতিটি পশুবাহী নৌকা থামিয়ে ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া সহ জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত ছানোয়ার জানায়, আমি গরুর নৌকা থেকে দু’দিন চাঁদা আদায় করেছি এখন আর করি না। তবে মাটিবাহী নৌকা থেকে ৫০/১০০ টাকা টোল আদায় করে থাকি। যা বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক অনুমোদিত।
এ বিষয়ে তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: মজনু শেখ বলেন, আলোকদিয়ার ভাটিতে ছানোয়ারের নেতৃত্বে কোরবানীর পশুবাহী নৌকা থামিয়ে চাঁদা আদায় করে। আমি ও ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোতালেব হোসেন বার বার চেষ্টা করেও এই চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারিনি ।
পাটুরিয়া নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবু বকর সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছানোয়ার সহ অনেকের নামে আমার কাছে ৯৯৯ এ ফোন সহ বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। গোপন ও প্রকাশ্যে তদন্ত কাজ চলমান আছে। আমরা এই অপরাধকে প্রতিহত ও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহীন জানান, আমি এই বিষয়ে অবগত নই। কেউ অভিযোগও করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মূলত বিষয়টি দেখভালের দ্বায়িত্ব নৌ-থানা পুলিশের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।