খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের বহুল আলোচিত চাঁদাবাজ থানার ফরমা সাইফুল ইসলাম রনিকে রবিবার রাতে নিকুঞ্জ থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
রনির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগে খিলক্ষেত থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়া, ঢাকার বিভিন্ন থানাতেও তার নামে অন্তত হাফ ডজন মামলা আছে।
নিকুঞ্জ টানপাড়া ও জামতলার বাসিন্দাদের কাছে রনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এক মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলেন। তার অনুমতি এবং তাকে চাঁদা দেয়া ছাড়া ঐ এলাকায় কেউ কোনো উন্নয়ন কাজ করতে পারত না। বিশেষ করে, গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সংযোগ নিতে গেলেও তাকে চাঁদা দেওয়াটা যেন এক অলিখিত নিয়ম ছিল। রনির অত্যাচারে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিকুঞ্জ টানপাড়া এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিলো এলাকা ছাড়া ।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রনির এই চাঁদাবাজির মূল আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ছিলো তার চাচা, কট্টর আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম। তাজুল ইসলামই স্থানীয় থানার সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যমে রনিকে ‘ফরমা রনি’ হিসেবে পরিচিত করে তোলেন।
গ্রেফতারকৃত রনি থানার ফরমা হওয়াতে এলাকার জনগণের কাছে ছিল বিপদজনক সে সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগেও সে ছিলো এক মহা আতঙ্কের নাম। তাই তার আটকের পর স্থানীয় বিএনপি এবং ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণের মাঝে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। খিলক্ষেতের স্থানীয় জনগণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে আটককৃত ‘ফরমা রনি’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।