বেড়াতে গিয়ে অসামান্য আবিষ্কার, বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলল ৩ বালক

৩ বালক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৭, ৯ আর ১০। এই হল ৩ বালকের বয়স। এদের মধ্যে ২ ভাইয়ের বয়স ৭ বছর ও ১০ বছর। অন্যজন তাদের তুতোভাই। বয়স ৯। তারা পাহাড়ি রাস্তা ধরে হেঁটে পাহাড়ে চড়ছিল। সঙ্গে অবশ্য ২ ভাইয়ের বাবাও ছিলেন। ৩ বালক প্রবল আনন্দে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে পা ফেলে তরতর করে উঠে যাচ্ছিল।

৩ বালক

আনন্দ তাদের আর ধরে না। এভাবেই পাহাড়ি এলাকার একটা জায়গায় একটা উঁচু মত কিছু নজরে পড়ে তাদের। পাহাড়ে উঁচু নিচু, এবড়োখেবড়ো তো থাকেই। কিন্তু এটা তো ঠিক তেমন নয়।

অনেকটাই আলাদা এটা। একটা অতিকায় পশুর মত দেখতে প্রস্তরখণ্ড। ৩ বালকই দাঁড়িয়ে পড়ে সেখানে। তারপর বোঝার চেষ্টা করতে থাকে। সঙ্গে থাকা অভিভাবককে বিষয়টি জানায়ও।

৩ বালক যা দেখেছে তা যে স্বাভাবিক পাথরের খণ্ড নয়, একথা তারা ফিরে এসে তাদের পরিচিত এক মিউজিয়াম আধিকারিককে জানায়। এটা ঘটেছিল ২০২২ সালে।

২০২৩ সালে ফের তারা সেখানেই ফিরে যায় বেড়াতে। এবার উদ্দেশ্য ছিল তারা যা দেখেছিল সেটা কি জানা। এবার কিন্তু ৩ বালকই পথ দেখায় বিশেষজ্ঞদের।

তাঁরা ওই প্রস্তরখণ্ডের কাছে পৌঁছে তা ভাল করে নিরীক্ষণ করার পর জানান ৩ বালক যা আবিষ্কার করেছে তা আগামী দিনে গবেষকদের প্রভূত সাহায্য করবে। তারা যে পাথরটি দেখেছে, তা আদপে একটি জীবাশ্ম।

টাইর‍্যানোসরাস রেক্স-এর জীবাশ্ম। ডাইনোসরদের মধ্যে অন্যতম ভয়ংকর প্রজাতি ছিল এই টিরেক্সরা। ৩ বালক যে পাথরটি দেখেছে তা একটি শাবক টিরেক্স-এর জীবাশ্ম। যা আপাতত ডেনভার মিউজিয়ামে সকলের দেখার জন্য জায়গা পেয়েছে।

জামাই হিসেবে সেরা এই ৫ রাশির জাতকরাই, জেনে নিন

আমেরিকার নর্থ ডাকোটা-র মারমাথ এলাকায় পাহাড়ি এলাকায় হাঁটার সময় ৩ বালক এই অনন্য আবিষ্কারটি করেছে। সেকথা এখন গোটা বিশ্ব জেনে ফেলেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই কাহিনি।