আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে বাড়ির উঠানে কাঠের ফ্রেমে ঝুলিয়ে রাখা হয় কনের যৌতুক। এই যৌতুক সাজিয়ে গুছিয়ে ঝুলিয়ে দেন কনের বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয় স্বজনেরা। গ্রামবাসী যাতে দেখতে পারেন, তাই এমন কৌশলের আশ্রয় নেন বুলগেরিয়ার রিভনভো গ্রামের মানুষ। ঝুলিয়ে রাখা এই যৌতুকের তালিকায় সব কিছুর আগে স্থান পায় কম্বল, বিছানার চাদর, লাল হারেম প্যান্ট ইত্যাদি।
প্রায় আড়াই দিন ধরে চলে বিয়ের অনুষ্ঠান। এই সময়ে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রীতি, অভ্যর্থনা ও নাচে অংশ নেন হবু বর ও কনে। প্রথম দিন যৌতুক প্রদর্শন আর পরের দিন বিয়ের মিছিল বের হয়। পুরো গ্রাম ঘুরে আসে সেই মিছিল। এদিন অনুষ্ঠানে নবদম্পতিকে উপহারের টাকা দিয়ে সাজানো হয়ে থাকে। পুরো গ্রাম মেতে ওঠে ওই অনুষ্ঠানে।
কনের বাড়িতে গেলিনা নামে একটি অনুষ্ঠান হয়, এই অনুষ্ঠান বিশুদ্ধতা আর নতুন শুরুর প্রতীক। বিয়ে উপলক্ষে কনেকে একেবারে নিখুঁতভাবে সাজানো হয়। মুখে সাদা পেইটিং আর সিকুইনের মিশেল থাকে। মাথায় থাকে বিভিন্ন ধরনের ফুল। প্রাচীনকাল থেকে এই রীতি চলে আসছে বলে জানা যায়।
সাজসজ্জা শেষেস বিয়ে বাড়িতে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে হাজির হওয়ার পালা। ঐতিহ্য মেনে চোখ বন্ধ রেখে হাজির হন কনে। বিয়ে শেষ হওয়ার পরে চোখ খুলতে পারেন।
দক্ষিণ-পশ্চিম বুলগেরিয়ার একটি তুষারময় পাহাড়ের ধারে রিবনভো গ্রাম। সেখানে কয়েক দশক ধরে কমিউনিস্ট নিপীড়ন চলছে। আর্থিক সমস্যা মোকাবিলায় এই গ্রামের অনেক পুরুষ বিদেশে কাজ করেন। শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই বিয়ের রীতিতে তবু কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তথ্যসূত্র: ডেইলিমেইল এবং ডয়চে ভেলে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।