জুমবাংলা ডেস্ক : ইন্টারনেটের দৌলতে এখন আমরা নানা মজার মজার ছবি দেখতে পাই। এর মধ্যে অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবিগুলোর জনপ্রিয়তা খুবই বেশি। অপটিক্যাল ইলিউশনে সাধারণত এমন ধরনের ছবি দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো খালি চোখে দেখলে বোঝা প্রায় অসম্ভব। এই ধরনের ছবি দেখার জন্য বিশেষ কিছু ট্রিক অনুসরণ করতে হয়। এগুলো সাধারণত দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্যই তৈরি করা হয়।
সম্প্রতি এমনই একটি ছবি ইন্টারনেটে শেয়ার হয়েছে যেখানে দু’তিনটি রঙের বিভিন্ন শেড ব্যবহার করে ছবিটি তৈরি হয়েছে। এক ঝলকে ছবিটির দিকে তাকালে আমাদের মনে হতেই পারে ছবিটি আসলে চলমান কোনও ভিডিও।
এমনকী, বার বার একই ভাবে তাকিয়ে থাকলেও দেখে মনে হবে ছবি একবার ক্লক-ওয়াইজ, আবার অ্যান্টি-ক্লক-ওয়াইজ ঘুরছে। কিন্তু এই রকম স্টিল ছবির পেছনে এমন কি বৈজ্ঞানিক যুক্তি থাকতে যাতে দেখে মনে হচ্ছে ছবিটি ঘুরছে? এর পেছনে থাকা মনস্তাত্ত্বিক কারণ জানিয়েছেন লন্ডনের মনোবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞরা।
মনোবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ছবিটি হ্যালুসিনেশনের একটি বড় উদাহরণ। এই রকমের ছবি স্থির থাকার পরও চারদিক থেকে এটিকে ঘুরতে দেখা যায়। তিনটি স্তরযুক্ত এই ধরনের ছবি বিপরীত রঙ এবং বিভিন্ন আকারের সংমিশ্রণের কারণে আমাদের সহজেই মনকে চালনা করতে পারে।
ছবিটির প্রতিটি স্তরে তৈরি রেখাগুলি ক্রমশ এমন ভাবে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায় যে খালি চোখে সেগুলো ধরা পড়ে না। অথচ আমাদের লেন্স সিকোয়েন্স বজায় রাখতে চোখ একই ক্রমে রেখাগুলোকে দেখতে শুরু করে, যার কারণে দেখে মনে হয় ছবির রেখাগুলো নড়াচড়া করছে।
ছবিটিকে গভীরভাবে অনুভব করতে হলে ছবির মাঝখানের ডটের উপর ফোকাস রাখতে হবে। দেখা যাবে, এতে ছবির গতি একটু ধীর বা স্থির মনে হবে। অথচ ফোকাস সরিয়ে বাইরের লাইনগুলো দেখার সময় নড়াচড়ার গতি তুলনামূলক বেশি বলে মনে হয়। লন্ডনের গোল্ডস্মিথ ইউনিভার্সিটির সাইকোলজিস্ট এবং হিউম্যান পারসেপশন এক্সপার্ট ডা. গুস্তাভ কুহন বলেছেন যে, এই ধরনের ইলিউশন মানুষের মনের অভ্যন্তরকে বোঝার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগেও এমন অনেক অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবি দেখা গিয়েছে। একেকটি ছবি সাধারণত একেক ধরনের ইলিউশন তৈরি করে। এমন কিছু ছবিও দেখতে পাওয়া যায় যেগুলো সাধারণ চোখে দেখলে মনে হবে আমরা ক্রমশ গভীর থেকে গভীরে তলিয়ে যাচ্ছি। অপটিক্যাল ইলিউশনের সম্পূর্ণ ধারণাটিই আসলে রঙের খেলা!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।