জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার (Android-L4) হিসেবে ডাক পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আশফাক সালেহীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি নিজের ফেসবুকে বিষয়টি নিশ্চিত করে স্ট্যাটাস দেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমি আজকে ফেসবুক লন্ডন অফিসে পার্টনার ইঞ্জিনিয়ার রোলে অফার পেয়েছি।’ তার এ অসামান্য অর্জনের জন্য মুহূর্তেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মহলে প্রশংসায় ভাসতে থাকেন।
কখন থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খুবিতে পড়া অবস্থায় আমি এতটা আশা করিনি, কারণ তখন এইসব কোম্পানিতে ঢোকার জন্য কি করতে হয় অথবা কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়, কিছুই জানতাম না। ২০১৩ সালে বিএসসি শেষ করার পর ঠিক করি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ মুভ করব। এরপর বেশ কয়েক বছর থাইল্যান্ড-এর কিছু বড় প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কয়েক বছর চাকরি করি। এক পর্যায়ে আমি উপলব্ধি করি, সামাজিক অবস্থানগত দিক দিয়েও একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে FAANG এ ঢোকা আমার জন্য অতি জরুরি। আমার লক্ষ্য ছিল ফেসবুক, গুগল এবং এমাজন এই তিনটি কোম্পানির যে কোনো একটি থেকে অফার আনা।
আশফাক সালেহীন আরও বলেন, আমার পথে বাধা ছিল আমার CSE এর একাডেমিক জ্ঞানের অভাব এবং কখনো কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং না করা। দীর্ঘ দেড় বছর আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সব রকম সোশ্যাল লাইফ থেকে পুরোপুরি দূরে ছিলাম। পুরা জীবনটা ডাটা স্ট্রাকচার, এলগোরিদম, লিটকোড আর এলগো এক্সপার্ট এ আটকে ফেলছিলাম। এক বছরে ছয় শতাধিক প্রব্লেম সলভ করেছি। নিজেকে আমার আবার গড়ে তুলতে হয়েছিল। তবে সবকিছু আমাকে তার মূল্য পরিশোধ করেছে। এই সফলতার আগে আমি ৫টা ব্যর্থতা দেখছি। প্রথমে একবার ফেসবুক থেকে, তারপর তিনবার এমাজন থেকে এবং একবার গুগল থেকে রিজেকশনের পর আমি আমি এটি সম্ভব করেছি।
অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, একটা অনেক বড় স্বপ্ন পূরণ হলো আমার। ইচ্ছা প্রবল ছিল, তাই ঠিক করেছিলাম না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব। তার জন্য আমার আপাত প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার যদি জলাঞ্জলি দেয়া লাগে তাতেও পিছপা হব না। শেষ পর্যন্ত যে এই গোলটা এচিভ করতে পেরেছি এতে আমি অনেক খুশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।