জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ইতি টানা হবে। কোনো ঘটনার বিচার হবে না এমনটা আর হতে দেয়া হবে না। সেই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকে দুই বন্ধুর রিয়্যাক্ট দেয়া নিয়ে যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে দুই পক্ষকে নিয়েই বসেছি। তারা একে অন্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং চোখে আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।’
ফেসবুক পোস্টে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই শিক্ষার্থীর মারামারির ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের মধ্যস্থতায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটেছে।
শনিবার রাতে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। সেখানে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী একে অন্যের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ওই ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ ক্ষতিপূরণ দেবার প্রতিশ্রুতি দেন সহপাঠী শান্ত ইসলাম আরিফ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় আলোচিত এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন ববির প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর কায়সার। মারামারির ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীই একে অন্যের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে ববির প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ইতি টানা হবে। কোনো ঘটনার বিচার হবে না এমনটা আর হতে দেয়া হবে না। সেই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকে দুই বন্ধুর রিয়্যাক্ট দেয়া নিয়ে যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে দুই পক্ষকে নিয়েই বসেছি। তারা একে অন্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং চোখে আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।’
আহত জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা দুজনই দুজনার বন্ধু এবং সহপাঠী। তাই বিষয়টি আমি এখানেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি এবং আমার আঘাতকারীকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। শনিবার রাতে প্রক্টর স্যার আমাদেরকে ডেকেছিলেন এবং দুজনকে মিলিয়ে দিয়েছেন।’
শান্ত ইসলাম আরিফ বলেন, ‘তৎক্ষণাৎ উত্তেজনায় আমি একটি ভুল করেছি। বিষয়টি এতদূর গড়াবে সেটি বুঝতে পারিনি। দিনশেষে আমরা দুজন বন্ধু। তাই বন্ধুত্বের জায়গা থেকে বিষয়টিকে আর টেনে নিতে চাইনি। জাকিরের চিকিৎসা খরচের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমি বহন করব। ইতোমধ্যে তাকে চিকিৎসা খরচের অর্ধেক টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে।’
ফেসবুকে হা হা রিয়্যাক্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে। ওই ঘটনায় আহত হন মারামারিতে জড়ানো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই শিক্ষার্থী। আহতরা হলেন একই বিভাগের সহপাঠী শান্ত ইসলাম আরিফ এবং জাকির হোসেন।
শান্ত ইসলাম আরিফের ছবিতে জাকির হোসেন হা হা রিয়্যাক্ট দেয়ায় দুজনের মধ্যে মেসেঞ্জারে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ভোলা রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে দুইজন হাতাহাতিতে জড়ায়। অভিযোগ ওঠে জাকির হোসেনের মুখমণ্ডলে ঘুষি মারেন শান্ত। অপরদিকে শান্তর হাতের আঙুলে কামড় দেন জাকির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।