আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যায় ভূমিকা থাকার অভিযোগে Facebook এর বিরুদ্ধে ১৫ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা এ মামলা দায়ের করেছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
মামলায় বলা হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিটির অ্যালগরিদম ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে। এছাড়া তারা প্লাটফর্ম থেকে বিভিন্ন উত্তেজক মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বিলম্ব করেছে। মেটা মালিকানাধীন প্লাটফর্মটির এ নীরবতায় মিয়ানমারে হাজারো রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ হারিয়েছেন।
গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবীরা। রোহিঙ্গাদের করা মামলায় Facebook কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণহত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকোর উত্তরাঞ্চলীয় জেলা আদালতে দায়ের করা মামলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ছোট দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ছোট দেশ বলতে বাংলাদেশের কথা বুঝিয়েছেন আইনজীবীরা। মামলায় দেশটিতে রোহিঙ্গাদের জীবন-মান সম্পর্কেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে অবস্থিত Facebook কার্যালয়ে রোহিঙ্গাদের পক্ষে আইনজীবীরা একটি চিঠি দিয়েছেন। আইন সংস্থা ম্যাকিউ জুরি ও পার্টনার্স’র দেয়া চিঠিতে মিয়ানমারে গুরুতর সহিংসতা, হত্যাসহ অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে Facebook স্বীকার করে, প্ল্যাটফর্মটি মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং ঘৃণামূলক বক্তব্যের উসকানি রোধে যথেষ্ট কাজ করেনি। ম্যাককিউর চিঠিতে আরো বলা হয়, Facebook দোষ স্বীকার করলেও ভুক্তভোগী কোনো রোহিঙ্গা বা তাদের পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি।
ম্যাকিউ জুরি ও পার্টনার্স পরিচালিত একটি স্বাধীন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যারা ঘৃণা ছড়াতেন এবং রোহিঙ্গাদের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছিলেন তারা Facebook ব্যবহার করেই কাজগুলো করতেন। তাদের পোস্টগুলো অফলাইনেও সহিংস ছিল।
ব্রিটেনের আইনজীবীরা নতুন বছরে যুক্তরাজ্যে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের শিবিরে শরণার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করে উচ্চ আদালতে একটি দাবি তুলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সান ফ্রন্টিয়েরস অনুসারে ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চলাকালীন দশ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের মামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জন দাবিদার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতেই উসকানিমূলক ভিডিও, সহিংসতা, অপপ্রচারের ভিডিও ও তথ্য সংবলিত পেজগুলোকে ব্যবহারকারীদের দেখাতে উৎসাহিত করেছে Facebook। এতে ঘৃণ্য অপপ্রচার আরও বাড়ে। যা গণহত্যায় উসকানি হিসেবে কাজ করেছে। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ফেসবুক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।