বিনোদন ডেস্ক : কামরুজ্জামান রাব্বীকে অনেকেই লোকসংগীতের শিল্পী হিসেবে চেনেন। আবার অনেকেই তাকে চেনেন না। কিন্তু তার গাওয়া ‘আমি তো ভালা না ভালো লইয়া থাইকো’ এই গানের সঙ্গে পরিচিত। যদিও এই গানের মালিকানা নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। গান ও গানের বাইরের রাব্বী- এসব নিয়ে তার মুখোমুখি হয়েছেন মাহতাব হোসেন।
সম্প্রতি দেশের বাইরে গিয়েছিলেন?
হ্যাঁ, আমি রাশিয়া গিয়েছিলাম। সেখানে ৬ দিনের একটি ট্যুর ছিল। রাশিয়ার বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্সের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে গাইতে গিয়েছিলাম। বেশ আনন্দপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অতিথি হিসেবে ছিলেন, আবার যারা সেখানে প্রবাসী হিসেবে থেকে গেছেন, তারাও ছিলেন। অনেক রাশান ও অনেকের রাশান স্ত্রীও ছিলেন, বেশ উপভোগ্য ছিল।
এখন কী কী কাজ নিয়ে আপনার ব্যস্ততা?
আমি তো আসলে নিয়মিত গান করি। বেশ কিছু গান এরই মধ্যে করে ফেলেছি, সে সবের শুটিংও হয়েছে। আসন্ন ঈদে অন্তত ১০টি গান মুক্তি পাবে। এর বাইরে জিঙ্গেল করছি, এরই মধ্যে বিউটির সঙ্গে একটি জিঙ্গেল করলাম। আর আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রতি সপ্তাহে একটি করে নতুন গান মুক্তি দিই। বলা যায় শ্রোতাদের আবদারে এটা আমি শুরু করেছি।
গানের বাইরে আর কি কিছুই করছেন না?
আমি গানের বাইরে অভিনয় করি। বৌ দৌড় নামে একটি নাটকে গায়ক মোহন চরিত্রে কাজ করেছি। ১২১ পর্বের এই ধারাবাহিকের কল্যাণে অনেকেই আমাকে মোহন নামেও ডাকে। নতুন আরেকটা ধারাবাহিক করছি বাউ কুমটা বাতাস নামের এই ধারাবাহিকে আমার নাম জালাল। এখানে আমার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করছেন রোবেনা জুঁই। অভিনয়ের পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইওডা) অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজ করছি।
গায়ক হয়ে ওঠার গল্পটা যদি বলতেন…
দেখেন আমাকে গায়ক বানিয়েছে একটা গান ‘আমি তো ভালা না ভালো লইয়া থাইকো।’ আমাকে কেউ না চিনলেও এই গান চেনে। কামরুজ্জামান রাব্বী নাম কেউ কখনোই না শুনলেও আমার গানটা শুনেছে। আমি এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছি। কিন্তু এইচএসসিতে রসায়নে দুইবার ফেল করি। চেয়েছিলাম আইনজীবী হতে কিন্তু হলো না, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলাম না। ইওডায় সংগীত বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স করলাম। গানেই স্থায়ী হলাম। ২০১৬ সালে ম্যাজিক বাউলিয়ানায় অংশ নিই। সেখানে পঞ্চম হই। ২০১৮ সালে গানটা রিলিজ হয়। সেই গান আমাকে পরিচয় তৈরি করে দেয়। এখন লোকসংগীত নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করছি।
আপনার বহুল জনপ্রিয় গান নিয়ে কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল…
হ্যাঁ। সেটা এখনো সমাধান হয়নি। এই গানটি আমাকে দিয়েছিলেন মাহবুব শাহ। আমি তার লেখা ও সুরে গাই। কিন্তু এরপরে কপিরাইট অফিসে টিটু পাগল নামে একজন যান। সেখানে শুনানির পরে তার গান হয়ে যায় এটি। এরপরে জানা যায় ফিতা ক্যাসেটের যুগে নষ্টা নারী নামের একটি অ্যালবাম বের হয়েছিল সেটায় এই গান ছিল। এটি ছিল নেত্রকোনার বাউল আজাদ মিয়ার। আমিও যাচাই করে দেখলাম এটাই আসল। কিন্তু কপিরাইট অফিসে এখনো এটা টিটু পাগলের নামে আছে। গত কোরবানির ঈদে বাউল আজাদ মিয়া মারা গেছেন। আমি তার পক্ষ নিয়ে লড়ে যাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।