ফজরের নামাজের সময় গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হা.ম.লা, নিহত অন্তত ১০০

গাজার স্কুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব গাজা শহরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

গাজার স্কুল

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ইসরায়েলি সামরিক বিমানগুলো আল-দারাজ এলাকার আল-তাবাঈন স্কুলটিকে লক্ষ্যবস্তু করে এই বোমা হামলা চালায়। এ সময় সবাই ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই হামলা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূল অভিযানের একটি বিস্তৃত প্রচারের অংশ উল্লেখ করেছে।

একটি বিবৃতিতে মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘ফজরের নামাজ পড়ার সময় দখলদার সেনাবাহিনী সরাসরি বাস্তুচ্যুত বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির দিকে নিয়ে গেছে।’

ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং মার্কিন প্রশাসন এই গণহত্যার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী উল্লেখ করে মিডিয়া অফিস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বৈশ্বিক সংস্থাগুলোকে গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের একটি ‘অপারেটিং কমান্ড সেন্টার’ রয়েছে এবং বেসামরিক ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম

তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। ১০ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৯৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।