জুমবাংলা ডেস্ক : কয়েক দিন ধরেই নতুন টাকার ডিজাইন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। অনেকে অনেক ধরনের ডিজাইনের নোটের ছবি শেয়ার করছেন। কেউ কেউ প্রকাশ করছেন ক্ষোভও। তবে যেসব নোট নেট দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সেগুলো ভুয়া বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি ২০ টাকার একটি নোটের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার এক পিঠে ষাট গম্বুজ মসজিদের পরিবর্তে কান্তজিউ মন্দিরের ছবি দেখা গেছে। অনেকেই এটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলে প্রশংসা করছেন। আবার অনেকেই মসজিদের পরিবর্তে মন্দিরের ছবি দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
আবার কিছু কিছু নোটে দেখা যাচ্ছে তারেক রহমান, ড. ইউনূস, মাহফুজ আলমসহ অনেকের ছবি। যদিও এসব ‘মিম’ তথা মজার ছলে ছড়ানো হচ্ছে। তবে অনেকে আবার বাস্তব মনে করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব নোটের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলো সত্য নয়। প্রকাশের আগে নোটের ডিজাইনের বিষয় খুব কঠোরভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। যখন বাজারে আসবে সবাই দেখতে পাবেন।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, ঈদুল আজহাতে বাজারে আসবে নতুন টাকা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নতুন টাকা ছাপানোও শুরু হয়েছে। নতুন টাকায় থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি।
গভর্নর বলেন, নতুন নোটে থাকবে দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা। ঈদে বাজারে প্রথমে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট আসবে।
টাকশাল সূত্রে জানা গেছে, ২০ টাকার নোট ছাপা প্রায় সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর পরে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেবে টাঁকশাল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে এই টাকা কবে বাজারে আসবে।
আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেয় এই সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় টাঁকশাল চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু করে।
টাঁকশাল আরও জানায়, একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ টাকায় থাকবে ‘জুলাই বিপ্লবের’ গ্রফিতি সংবলিত ছবি, ১০ টাকায় থাকবে তারুণ্যের ঐক্যের প্রতীক এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ছবি। ১০০ টাকায় থাকবে ইউনেস্কোর স্বীকৃত সুন্দরবনের চিত্রা হরিণ ও বাঘের চিত্র, যা সাবেক সরকারের বিদায়ের পর নোট রূপান্তরের প্রতীক। ২০০ টাকায় ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতীক হিসেবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা থাকবে, আর ৫০০ টাকায় থাকছে ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলের ছবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।