আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি কয়েনের দাম যে ৪ কোটি ২১ লক্ষ টাকার ওপর পৌঁছে যেতে পারে তা কেউ ভেবেছিলেন কি? সেটাই কিন্তু হয়েছে। ওই কয়েনটি কেনার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় নিলামে।
আপাত দৃষ্টিতে একটি মামুলি কয়েন। একটু পুরনো ঠিকই। তবে তা এতটাও পুরনো নয় যে তার দাম ৪ কোটি টাকার ওপর পৌঁছে যাবে। এ কয়েনটির ক্ষেত্রে তাই হল।
যখন সেটি প্রথম বিক্রি হয়েছিল সেটা ছিল ৪৬ বছর আগের কথা। তখন যে দামে বিক্রি হয়েছিল তার ৩০ গুণ বেশি দামে এখন বিক্রি হল।
এই ৪৬ বছর এক কয়েন সংগ্রাহকের কাছেই তা রাখা ছিল। এবার তিনি তা নিলামে দিতে চেয়েছিলেন। তাই তা নিলামে ওঠে। কয়েনটি একটি ডাইম। অনেকটা আমেরিকার ১ টাকার কয়েনের মত।
এই ডাইমের এত দাম উঠল কেন? কি আছে তাতে? আসলে এই কয়েনটি অতি বিরলের দলে পড়ে। আর তার কারণ একটা ইংরাজি হরফ। ইংরাজি হরফ এস না থাকাটা এই কয়েনের দামকে ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি টাকার ওপর নিয়ে গেল।
আদপে এই ডাইম কোথায় তৈরি হচ্ছে সেই টাঁকশালের চিহ্ন দেওয়া থাকত। সান ফ্রানসিসকো টাঁকশাল মানে তাতে এস লেখা থাকত। এই ডাইম ওই টাঁকশাল থেকেই তৈরি। কিন্তু তাতে কোনও কারণে এস চিহ্নটি নেই।
আর সেই একটা এস চিহ্নের অনুপস্থিতি এই কয়েনটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম করে তুলেছিল। ফলে সে কয়েন সংগ্রহ করার ইচ্ছা অনেকেরই ছিল।
২টি স্ক্রিনের সঙ্গে দুর্ধর্ষ ফিচারের Lava Agni 3 5G স্মার্টফোন, রইল বিস্তারিত
এবার সুযোগ পেয়ে তাই নিলামে দর হাঁকতে কার্পণ্য করেননি মুদ্রা সংগ্রাহকরা। অবশেষে ৫ লক্ষ ৬ হাজার ২৫০ ডলারে শেষ হয় নিলাম। আমেরিকার গ্রেটকালেকশনস-এ নিলামটি হয়। কয়েনটি কিনে নেন এক মুদ্রা সংগ্রাহক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।