সুয়েব রানা, সিলেট : এবার ফাগুনের আগেই শিমুল ফুল হাতছানি দিচ্ছে। অন্যান্য বছর বসন্ত আর ভালবাসায় রক্তরাঙা শিমুল ফুল মিলেমিশে একাকার হয়ে উঠলেও এবার একটু ব্যাতিক্রম দেখা গেছে বাগানে।
এখনো পহেলা ফাল্গুনের আরো তিনদিন বাকি। তবে এরই মধ্যে বাগানের গাছগুলোতে শিমুল ফুল ফুটে প্রিয়জনকে হাতছানি দেয়া শুরু করেছে। মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা যাদুকাটা নদীর তীরে ‘শিমুল বাগানে’ এখন ফুটতে শুরু করেছে রক্তলাল শিমুলের থোকা। সারি সারি গাছের ডালে ফুটে থাকা হাজারো শিমুল ফুল এখানে আসা প্রেমিক যুগলদের মনকে রাঙিয়ে তুলছে। বাগানের রক্ত রাঙা ফুল এবার চোখে পড়ছে অনেক দূর থেকেই। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগানে। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকপ্রেমি আসতে শুরু করেছে এই বাগানে। কেউ আসছেন প্রেমিকা নিয়ে আবার কেউ আসছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। যেনো বসন্তে বাউলের মন রাঙিয়েছে।
সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি গাছে ফুটে থাকা লাল পাঁপড়ি এবার একটু আগেই মেলতে শুরু করেছে। যা দেখে পর্যটনপ্রেমীরা আনন্দে মেতে উঠেছেন। বাগানে জমে উঠছে শিমুল মায়ার খেলা।
জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর তীরে মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা মানিগাওঁ গ্রাম সংলগ্ন ১০০ বিঘা জমি জুড়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল এক শিমুল বাগান। নদীর ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝে মায়ার নদী যাদুকাটা আর এপাড়ে রক্তিম ফুলের শিমুল বাগান। ২০০২ সালে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বৃক্ষপ্রেমী জয়নাল আবেদীন নিজের প্রায় একশো বিঘা জমিতে তিন হাজার শিমুল গাছ রোপণ করেন। ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে ওঠা গাছগুলো এখন হয়ে উঠেছে সারা দেশেরমানুষের কাছে পরিচিত একনাম ‘শিমুল বাগান’। বাগানটিতে এবার সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। বসার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে সঙ্গে বাগানের ভিতরেই ক্যান্টিন করা হয়েছে। ক্যান্টিনে সব ধরনের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যাচ্ছে অল্প দামেই।
বাগান দেখতে আসা লাবণী জানান, দেশে এতো বড় শিমুলবাগান স্বপ্নের মতো। নিজের চোখে দেখতে পেয়ে অন্যরকম অনুভূতি লাগছে। সারা বছর অপেক্ষায় ছিলাম ফাগুনে রক্ত রাঙা ফুল দেখবো। এখানে এসে ফুলের পাঁপড়ি দেখে এখন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
Vivo V50: দুর্দান্ত ফিচারের সঙ্গে 6000mAh ব্যাটারির সেরা স্মার্টফোন
বাগানের মালিক প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের ছেলে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন জানান, এবার একটু আগেই শিমুল গাছগুলোতে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, এই বাগান তার মরহুম পিতার পরিচয় সহ সুনামগঞ্জের পরিচয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ভলন্টিয়ার সহ পুলিশের নজরদারি রয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে এখানে আসা পর্যটকরা ঘুরছেন কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।