আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে। গত মে মাসে নতুন অর্ডার কমেছে। দেশটির সবশেষ প্রকাশিত অর্থনীতির উপাত্তে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে মার্কিন মুদ্রা ডলারের পতন ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অ-উৎপাদনশীল ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচক (পিএমআই) কমেছে। সেটা দাঁড়িয়েছে ৫০ দশমিক ৩ পয়েন্টে। আগের মাসে (এপ্রিল) যা ছিল ৫১ দশমিক ৯ পয়েন্ট।
এ প্রেক্ষাপটে সোমবার (৫ জুন) ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে যা ছিল ১০৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট।
ফলে এ কার্যদিবসে ইউরোর মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রাটির দাম স্থির হয়েছে ১ দশমিক ০৭১৮ ডলারে।
জাপানি মুদ্রার বিপরীতে গ্রিনব্যাকের অবমূল্যায়ন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ। প্রতি ডলারের দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩৯ দশমিক ২৮ ইয়েনে।
গত শুক্রবার অর্থনীতির প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে। তাতে দেখা যায়, দেশটিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার জনের। পূর্বাভাসের চেয়ে যা ১ লাখ ৯০ হাজার বেশি। তাতে ডলারের দাম বেড়ে যায়।
বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফলে সুদের হার বাড়িয়ে যাবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। মূলত এ কারণে ডলারের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু আবার সেই জায়গা থেকে ফিরে আসতে পারে তারা। ফলে ইউএস মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটেছে।
কানেক্টিকাট স্ট্যামফোর্ড ভিত্তিক ন্যাটওয়েস্ট বাজারে জি১০ ফোরেক্স স্ট্র্যাটেজির প্রধান ব্রেইন ডেইনগারফিল্ড বলেন, আলোচ্য মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সংখ্যা বেড়েছে। দেশটির শ্রমবাজার শক্তিশালী হয়েছে। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বাজারে যা প্রভাব ফেলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।