জুমবাংলা ডেস্ক : গায়ে লেখা থাকতো মেড ইন চায়না, মেড ইন ভিয়েতনাম, মেড ইন ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নাম। দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো নকল। এই ফোনগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হতো।
গুলিস্তানে নিজের কারখানায় এই ফোনগুলো তৈরি করে বিক্রি করতেন মো. স্বপন (২৬)। দীর্ঘদিন এই কাজ করে পার পেয়ে গেলেও এবার শেষ রক্ষা হয়নি। রোববার রাতে তার কারখানা থেকেই স্বপনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সরকারি সংস্থার কোনো ধরনের অনুমোদন না থাকলেও দিনে ৫০টি মোবাইল ফোন তৈরি হতো এ কারখানায়। দিনে ২০০টিরও বেশি মোবাইল বিক্রি করতেন মো. স্বপন। বিভিন্নভাবে মোবাইলের যন্ত্রাংশ এনে তার কারখানায় নকল আইএমআই দেওয়া হতো। সর্বশেষ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহক ও অপরাধীদের হাতে তা চলে যেতো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) সহযোগিতায় প্রায় এক হাজার ৫০০টি মোবাইলফোন, তিন হাজার ৩৭০টি নকল ব্যাটারি, ১২০টি হেডফোন, ৩৮৫টি চার্জার ক্যাবল, এক হাজার ১৫৫টি নকল চার্জার, ৪৩টি মোবাইলফোনের ডিসপ্লে, ১০টি ইলেকট্রিক সেন্সর, ১৩টি আইএমইআই কাটার মেশিন জব্দ করা হয়।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, একটি বেসরকারি অফিসের পিয়নের কাজ করা স্বপনের ছোট বেলা থেকেই প্রযুক্তিগত দিকে আগ্রহ ছিল। একজনের মোবাইল ফোন মেরামতের সূত্রে গুলিস্তান এলাকার এক মেকানিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর সেই মেকানিকের মাধ্যমে স্বপন জানতে পারেন মোবাইল ফোন মেরামতের ব্যবসাটি লাভজনক। তখন তিনি বিনা বেতনে একটি সার্ভিসিং দোকানের মেকানিকের সঙ্গে কাজ শিখতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে স্বপন মোবাইল সার্ভিসিংয়ের ওপর বেশ দক্ষতা অর্জন করেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে জানার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখেন। একপর্যায়ে স্বপন নিজেই ভিন্ন দেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে মোবাইল ফোন তৈরি ও ‘আইএমইআই’ নম্বর পরিবর্তনের কাজ শুরু করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, স্বপন প্রতিদিন ৫০টি মোবাইল তৈরি করতে পারেন। তার কারখানায় আরও কয়েজকজন সহযোগী ছিল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।