বিনোদন ডেস্ক : শিরীষ কুন্দরের সঙ্গে বিয়ের প্রথম বছরেই পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ‘ওম শান্তি ওম’-এর পরিচালক ফারাহ খান। ভেবেছিলেন, মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন কাজ। সম্প্রতি ‘স্বয়ম্বর: মিকা দি ভোতি’-র সেট পরিদর্শন করতে এসে মজার ছলে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ফারাহ।
২০০৪ সাল। ছবির সম্পাদক শিরীষ কুন্দেরকে বিয়ে করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু তার পরই বোঝেন, সংসার সামলাতে পারছেন না। সোমবার ‘স্বয়ম্বর’-এ এসে মিকার সঙ্গে রসিকতা শুরু করেন ফারাহ। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের বলেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ মিকাকে বিয়ে করবে?” শুনে সবাই হেসে ওঠেন। তবে সে সময় এক প্রতিযোগী দুঃখ করে বলে ওঠেন, তাঁর বাবা-মা সমানে জোর করছেন এই বলে যে, বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে, এ বার বিয়েটা যাতে তিনি করে নেন। সেই শুনে ফারাহ প্রতিবাদ করে ওঠেন। প্রতিযোগী তরুণীকে বলেন, “কখনও বয়স হয়েছে বলেই বিয়ে করা উচিত নয়। মানসিক ভাবে প্রস্তুত হলে বা পছন্দমতো সঙ্গী পেলে তবেই ভেবে দেখা উচিত। আমিও বিয়ের প্রথম বছরে পালাতে চেয়েছিলাম মানাতে পারছিলাম না বলে।” মিকার ক্ষেত্রেও কিছুটা সহমর্মী ফারাহ। জানান, এক জন গোছানো, পরিণত বুদ্ধির নারীই মিকাকে একমাত্র সুখী করতে পারেন।
বর্তমানে সপরিবারে তাইল্যান্ডের কো সামুইতে ছুটি কাটাচ্ছেন ফারাহ। তিন যমজ সন্তান দিভা, আনিয়া এবং জার এ বছর ১৪–এ পড়েছে। বিয়ের পর মানাতে পারবেন না ভেবেও এতগুলো বছর সুখেই কাটিয়ে দিয়েছেন ফারাহ। ‘স্বয়ম্বর’-এ এসে তাঁর পরামর্শ, “ ইতিবাচক রসায়ন তৈরি হলে তবেই সম্পর্কে এগোনো উচিত। রসবোধ যেন জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। সেটা খুব দামি। সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’জনকেই পরস্পরের কাছে স্বচ্ছ থাকতে হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।