Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home পাটের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি
Suggest Entertainment News অর্থনীতি-ব্যবসা কৃষি

পাটের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

Saiful IslamAugust 8, 2022Updated:August 9, 20224 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর হাটে পাট উঠতে শুরু করেছে। ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা খুশি। বর্তমানে মণপ্রতি পাট বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকায়। গত বছর ছিল ২২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা। শুরুতে দাম ভালো হওয়ায় পাট মৌসুমের শেষের দিকে দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা কৃষকদের।

রাজশাহী পবা উপজেলার নওহাটা বাজারে নতুন পাট নিয়ে আসছেন কৃৃষকরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। এখন হাট-বাজারে পাটের আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাটকলগুলোতে বেড়েছে পাটের চাহিদা। এ কারণে প্রতি হাটেই পাটের দাম বাড়ছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি পাটচাষিরা।

নওহাটা মহানন্দাখালী এলাকার কৃষক সাজু দশ মণ পাট বাজারে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাটের ভালো দাম পেয়ে আমি খুশি। এ বছর শুরতেই পাটের বাজার ভালো। এবার পাঁচ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে দশ মণ পাট পেয়েছি। পানি সংকটের কারণে জমি থেকে পাট কেটে অন্যত্র জাগ দিতে হয়েছে। এতে খরচ বেড়েছে। অন্যান্য বছর প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে ১৫ হাজার টাকা খরচ হতো। এ বছর ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তারপরও খরচ বাদ দিয়ে দশ মণ পাটে ১৪ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।’

পবা উপজেলার পুঠিয়াপাড়া গ্রামের পাট চাষি মামুন হোসেন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি কম হয়েছে। তাই খাল বিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। উচু জমিতে বেশি পাট হয়। এ পাট কেটে নিচু এলাকার খাল-বিলে জাগ দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়েছে। কিন্তু পাটের ভালো দাম পেয়ে এ কষ্ট লাঘব হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তোষা পাটের ৮০টি পাট কাঠির একটি বান্ডিল ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এতে পাট জাগ, পরিবহন, বাছাই ও শুকানোসহ সব ধরনের খরচ উঠে আসছে। সব মিলিয়ে পাটে এখন আমাদের সুদিন ফিরেছে।’

বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের মকুল হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে লাঙল, বীজ, সেচ, কাটা, পরিষ্কার করা ও সার দেওয়াসহ যাবতীয় খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। এবার উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ মণ। বর্তমানে বাজারে নতুন পাট প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা।’

এবার শুরুতে পাটের দাম ভালো হলেও কাটার পর পচাতে দিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বর্ষাকালেও তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিল-পুকুরে পানি ছিল না। এর ফলে পাট জাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছিল। মধ্য শ্রাবণের বৃষ্টিতে সেই সমস্যার কিছু সমাধান হয়েছে। অনেকে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন।

কালিদাসখালী চরের আশরাফুল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরতাপে পাটগাছ খর্বাকৃতির হয়ে আছে। জমির বেশির ভাগ পাটগাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে। জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। তার মতো শত শত চাষি এবার পাট চাষ করেছেন। কিন্তু খরায় সর্বনাশ হয়ে গেছে।

নওহাটা হাসেন জুট মিলের এক্সপোর্ট ম্যানেজার পার্থ সরকার বলেন, ‘কোরবানির ঈদের আগেই হাট-বাজারে নতুন পাট আসতে শুরু করে। তখন প্রতিমণ পাট ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা দরে কেনা-বেচা হচ্ছিলো। ঈদের পর পাটকলগুলো পাট কিনতে শুরু করে। তারপর থেকেই পাটের দাম বাড়তে শুরু করে। গত হাটে প্রতিমণ পাট ২৮০০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাটের বাজারে এখন তেজি ভাব বিরাজ করছে। জুট মিলগুলো এভাবে পাট কেনা অব্যাহত রাখলে পাটের বাজার আরও বাড়তে পারে।’

নওহাটা জুট মিলের পাট সরবরাহকারী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘পবা অঞ্চলে বেশ কিছু জুট মিল গড়ে উঠেছে। এরা প্রতিযোগিতা করে পাট কিনতে মাঠে নেমেছে। এ কারণে পাটের দাম বাড়ছে। গত কয়েক বছর ধরে পাটের বাজার ভালো রয়েছে। আমরা লাভবান হচ্ছি। কৃষকও পয়সা পাচ্ছেন।

রাজশাহী পাট অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক নাদিম আক্তার জানান, এ বছর রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে তোষা পাট আবাদ হয়েছে। জেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টর। গত বছর ছিল ১৫ হাজার হেক্টর এবং পাটের আবাদ হয়েছিল ১৯ হাজার ৩৮ হেক্টর। ইতোমধ্যে জেলার ২৫ ভাগ পাট বাজারে এসেছে। বাজারে পাটের দাম ভালো রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে কৃষকরে সমস্যা হলেও মধ্য শ্রাবণের বৃষ্টিতে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

বাজারে পাটের দামের বিষয়ে তিনি জানান, মৌসুমের শুরুতে নওহাটা বাজারে প্রতিমণ পাট ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বানেশ্বর হাটে প্রতি মণ পাট ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত বছর প্রতি মণ পাট মৌসুমের শুরুতে ২২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এবং মৌসুমের শেষের দিকে ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগের বছর পাট মৌসুমের শেষের দিকে ৬ হাজার টাকা দরে পাট বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ‘কৃষকরা পুকুর ভাড়া নিয়ে আবার কেউ কেউ বিঘা প্রতি পুকুরে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে চাষিদের খরচ কিছুটা বাড়ছে। কিন্তু কোনও উপায় নেই। আবাদ করলে একটু খরচ-কষ্ট করতে হয়। বৃষ্টি না থাকায় মাঠে রোপণ করা পাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন পাটের জন্য বৃষ্টি দরকার। যাদের জমিতে পাট ভালো আছে, তারাও জাগ দেওয়ার পানি নিয়ে সংকটে পড়েছেন। সেচের পানিতে পাট জাগ দিতে চাষিদের অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যাবে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
entertainment news suggest অর্থনীতি-ব্যবসা কৃষকের কৃষি দাম, পাটের পেয়ে প্রভা ভাল ভালো মুখে হাসি
Related Posts

পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ ফেরত ডিসেম্বরেই

December 17, 2025
দেশের রিজার্ভ

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৪৮ বিলিয়ন ডলার

December 17, 2025
স্বর্ণের দাম

২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

December 17, 2025
Latest News

পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ ফেরত ডিসেম্বরেই

দেশের রিজার্ভ

দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৪৮ বিলিয়ন ডলার

স্বর্ণের দাম

২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

তৈরি পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে দায়িত্বশীল নীতিমালায় জোর বিশেষজ্ঞদের

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডে প্রথম হয়েছে ইসলামী ব্যাংক

সোনার দাম

দেশের বাজারে আরো বাড়ল সোনার দাম, ভরিতে যত টাকা

Optical-Illusion-Picture

Optical Illusion: ছবিটি বলে দেবে আপনি কতটা অলস

আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন

মোবাইল ফোনের দাম

কমে যেতে পারে মোবাইল ফোনের দাম

সোনার দাম

আজ দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হবে সোনা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.